বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বিসিসিআইয়ের সংবিধানে কুলিং অফের নিয়ম বদলের অনুমতি দেওয়া মাত্রই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন নিয়ে অঙ্ক কষা শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিবর্তিত নিয়মে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ চাইলে তিন বছরের আরও একটি মেয়াদে বোর্ডের অন্দরমহলে থেকে যেতে পারেন। তবে শেষ পর্যন্ত সৌরভরা নিজেদের পদে বহাল থাকেন কিনা, তা স্থির হবে বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায়।
নির্বাচিত হলে সৌরভ আরও তিনবছর বোর্ড সভাপতির পদে থেকে যেতে পারেন। তবে পিছন থেকে জয় শাহর উত্থানেই সৌরভের গদি অনিশ্চিত দেখাতে পারে। আসলে বেশ কিছু রাজ্য সংস্থা জয় শাহকে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চাইছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট অনুযায়ী অন্তত ১৫টি রাজ্য সংস্থা জয় শাহকে বোর্ড সভাপতি পদে সমর্থন করছে।
প্রথমত, সৌরভ আইসিসির দিকে পা বাড়ান কিনা, তার উপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। তাই যদি হয়, তবে ৩৩ বছর বয়সী জয় শাহ বোর্ডের সব থেকে কম বয়সী সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন। সৌরভ যদি আরও একটি মেয়াদে বিসিসিআই সভাপতি নির্বাচিত হন, তবে তাঁর পরে সৌরভের সঙ্গে কুলিং অফে যেতে হবে জয় শাহকেও। সেক্ষেত্রে বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদ আপাতত তাঁর অধরাই থেকে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভাতেই অনেক কিছু ঘটতে পারে। যতক্ষণ না মনোনয়ন জমা পড়ছে এবং তা যাচাইয়ের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে, আগে থেকে ছবিটা অনুমান করা মুশকিল। এজিএমের পরে কী হবে, তা এখন থেকে বলা সম্ভব নয়।’
জয় শাহকে সমর্থন করা রাজ্য সংস্থাগুলির বেশিরভাগেরই ধারণা, করোনার মাঝেই আইপিএল আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে জয় শাহর প্রচেষ্টাতেই। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট বুধবার বোর্ড কর্তাদের কুলিং অফের নিয়ম শিথিল করার অনুমতি দেয়। পুরনো নিয়মে রাজ্য সংস্থা ও বিসিসিআই মিলিয়ে টানা ৬ বছর কেউ পদে থাকলেই তাঁকে ৩ বছরের জন্য কুলিং অফে যেতে হতো। নতুন নিয়মে বোর্ড ও রাজ্য সংস্থা, উভয় ক্ষেত্রে আলাদা আলাদাভাবে টানা ৬ বছর পদে থাকা যাবে। যার অর্থ ২০১৯ সালে বিসিসিআইয়ের দায়িত্ব নেওয়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২৫ পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব সামলানোর সুযোগ পেতে পারেন।