ভারতীয় বোলারদের দাপট দেখা গিয়েছিল অ্যাডিলেডের প্রথম টেস্টেও। যদিও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ভারতকে একতরফাভাবে ম্যাচ হারতে হয়। মেলবোর্নে ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা জমাট প্রতিরোধ গড়েন। তবে ভারতীয় বোলাররা পুনরায় ছাপিয়ে যান নিজেদের।
দলের সেরা দুই বোলার ইশান্ত শর্মা ও মহম্মদ শামিকে ছাড়াই এমসিজিতে অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করেন বুমরাহ-অশ্বিন-সিরাজরা। তাও দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই চোট পেয়ে মাঠ ছড়তে হয় উমেশ যাদবকে।
মেলবোর্বনের বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে কার্যত লাঞ্ছিত করে ভারতীয় বোলাররা। অজিদের এমন কয়েকটি লজ্জার নজির গড়তে বাধ্য করে, যে ছবি তারা নতুন শতকে দেখেনি।
প্রথমত, দীর্ঘ ৩২ বছর পর এই প্রথমবার কোনও টেস্ট ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কোনও ব্যাটসম্যান হাফ-সেঞ্চুরি করতে ব্যর্থ হয়। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন মার্নাস ল্যাবুশান। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবথেকে বেশি ৪৫ রান করেন ক্যামেরন গ্রিন।
দ্বিতীয়ত, নতুন শতকে এই প্রথমবার কোনও টেস্ট ইনিংসে ১০০ ওভার ব্যাট করে ২০০ রান তুলতে ব্যর্থ হয় অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ ওভার ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৬ রান তোলে।
তৃতীয়ত, অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠে শেষবার ১০০ ওভার ব্যাট করে এর থেকে কম রান করেছিল ১৯৭০ সালে। ১৯৭৮-৭৯ সালের পর থেকে ৮০ ওভারের বেশি ব্যাট করে ঘরের মাঠে এটাই অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিন্ম রান রেট (১.৯৩)।
চতুর্থত, ১৯৯৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারার পর থেকে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ডেরায় ১৫৫টি টেস্ট খেলেছে। এই সময়ের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তারা কোনও টেস্টের দুই ইনিংসে ২০০ বা তারও কম রানে অল-আউট হয়। ২০১৬ সালে হর্বাটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুই ইনিংসে ৮৫ ও ১৬১ রানে অল-আউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার মেলবোর্নে অজিদের দুই ইনিংস গুটিয়ে যায় যথাক্রমে ১৯৫ ও ২০০ রানে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।