শুভব্রত মুখার্জি
তিনি সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। ভারত শুধু নন, সারা বিশ্বের কাছে তিনি কিংবদন্তি। ব্যাট হাতে বিশ্বের তাবড় তাবড় বোলারকে শাসন করেছেন। দুই দশকের উপর তিনি ব্যাট হাতে বিশ্বের যে কোনও পিচে পেস হোক বা স্পিন, যে কোনও বলের সামনে গড়েছেন একের পর এক নজির। মাত্র ১৮ বছর বয়সে প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন ব্যাটিং কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর।
সেই ১৯৯১-৯২ সফরে ক্রেগ ম্যাকডরমট, মার্ভ হিউজ, মাইক হুইটনিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে দুটো শতরান ও করেছিলেন সচিন। অ্যাডিলেড টেস্টে ভারতের জঘন্য হারের পরে তিনি জানালেন শুধু রক্ষণাত্মক ব্যাটিং নয়, অস্ট্রেলিয়াতে সফল হতে গেলে রান করার দিকেও নজর দিতে হবে।
সচিন তাঁর নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন '১৯৮৭-৮৮ সালে বল বয় ছিলাম। সেখান থেকে চলে যাই অস্ট্রেলিয়া সফরে। অসাধারণ সমস্ত বোলার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ওদের দেখে আমি বড় হয়েছিলাম। জানতাম আমাকে আউট করার জন্য ওরা সব কিছু করবে। চ্যালেঞ্জ সামলানোর জন্য তৈরি ছিলাম।'
অজিদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং কৌশল নিয়ে তিনি বলেছেন, 'সবাই মনে করে, অস্ট্রেলিয়ার পিচে অতিরিক্ত বাউন্স ও গতি আছে। ব্যাটসম্যানকে সমস্যায় ফেলার জন্য ওই বাউন্সটা পেতে গেলে বোলারকে বিশেষ একটা জায়গায় বল করতে হবে। কাজটা কিন্তু মোটেও সোজা নয়। ব্যাটসম্যান যদি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নামে, শুধু রক্ষণাত্মক ব্যাটিং না করে রান করার কথা মাথায় রাখে, তা হলে অনেক সুযোগ থাকে। প্রথম দিকে আমি বলগুলো নামিয়ে খেলার চেষ্টা করতাম। টেস্টে থার্ডম্যান থাকে না। তাই হঠাৎ করেই মাথায় আসে বলের লাইনের ঠিক নীচে গিয়ে গতিকে কাজে লাগিয়ে থার্ডম্যান অঞ্চল দিয়ে মারলে চারটে রান পাওয়া যায়। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের এটা মাথায় রাখতে হবে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।