প্রথম টেস্টে লজ্জার হারের পর একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। তারপর আবার তিনি দেশে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকেই সিরিজের ভবিষ্যত (অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৪-০) দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু ভেঙে পড়েনি ভারত। খোলসে ঢুকে পড়েনি। বিরাট কোহলি যে ‘নয়া ভারত’-এর কথা বলেছিলেন, সেই ভারতের প্রমাণ দেখালেন অজিঙ্কা রাহানে। বৃত্ত সম্পূর্ণ করলেন রাহানে এবং তাঁর ছেলেরা।
মঙ্গলবার পঞ্চম দিনে গাব্বায় ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত। গাব্বায় অস্ট্রেলিয়ার দুর্গ, ক্রমশ খারাপ হওয়া পিচ, দলের সেরা ব্যাটসম্যানের অনুপস্থিতি, চোট-আঘাতের মতো সমস্ত প্রতিকূলতাকে হারিয়ে ইতিহাস রচনা করেছেন রাহানেরা। তার ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, কার্যত দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বার্তা দিয়ে দিল, ওহে! এতদিন যে ২০১৮-১৯ সালে হারের কারণ হিসেবে স্টিভ স্মিথ এবং ডেভিড ওয়ার্নারদের অনুপস্থিতির অজুহাত খাড়া করতে তা আর বলার চেষ্টা কর না। দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও কার্যত পূর্ণশক্তির অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছে ভারত। সঙ্গে যেন একটা অলিখিত প্রশ্ন ছুড়ে এল ভারত, ‘এবার কোন অজুহাত দেবে?’
সেই জয়ের স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক কোহলি। যাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জয়ের পরও স্মিথ এবং ওয়ার্নারের অনুপস্থিতির কারণে কোথাও একটা খুঁত ছিল বলে মনে করতেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। এবার সেই চোনাও থাকল না। টুইটারে বিরাট বলেন, ‘দুর্দান্ত জয়! ইয়েসসসস! অ্যাডিলেডের পর যাঁরা আমাদের নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন, তাঁরা সামনে এসে দেখে নিন। দৃষ্টান্তমূলক পারফরম্যান্স। সার্বিকভাবে জেদ এবং সংকল্প সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ছেলেদের এবং দলের ম্যানেজমেন্ট, দুর্দান্ত কাজ করেছেন। ছেলেরা এই ঐতিহাসিক জয় উদযাপন কর।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।