বিরাট কোহলি যখন ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন, ভারত তখন ৩২ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসেছে। স্বাভাবিকভাবেই অজি বোলারদের আগ্রাসনে বাঁধ দিতে না পারলে অ্যাডিলেডের প্রথম ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারত অস্ট্রেলিয়া। তা হয়নি কোহলির জন্যই।
চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে ৬৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে কোহলিই ভারতকে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন। পরে রাহানের সঙ্গে জুটি বেঁধে যোগ করেন আরও ৮৮ রান। ইতিমধ্যে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে ধীরে ধীরে শতরানের দিকে পা বাড়িয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক।
সবকিছু যখন টিম ইন্ডিয়ান নিয়ন্ত্রণে দেখাচ্ছে, ঠিক তখনই ভারতীয় ইনিংসের সবথেকে বড় বিপর্যয় ঘটে যায়। রাহানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় বিরাটকে।
ইনিংসের ৭৭তম ওভারে লিয়ঁর শেষ বল সামনের দিকে ঠেলে দিয়েই রান নিতে উদ্যত হন অজিঙ্কা। রাহানের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে নন-স্ট্রাইকার প্রান্ত থেকে দৌড় লাগান কোহলি। তবে বিরাট যখন প্রায় পিচের মাঝপথে, তখন তাঁকে রান নিতে বারণ করেন অজিঙ্কা। ততক্ষণে গ্রিন বল ধরে বোলারের হাতে ছুঁড়ে দিয়েছেন। লিয়ঁ তা স্টাম্পে লাগাতে ভুল করেননি। ফেরার উপায় না থাকায় কোহলি কার্যত দাঁড়িয়ে পড়েন পিচে।
রান-আউটেই থেমে যায় বিরাটের ৭৪ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস। এই নিয়ে টেস্টে মাত্র ২ বার রান-আউট হলেন কোহলি। প্রথমবার তাঁকে রান-আউট করেছিলেন বেন হিলফেনহাস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।