বাবার মৃত্যুর পর দেশে ফেরেননি। মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করে থেকে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া। তাঁর অদম্য জেদ, দৃঢ়প্রতিজ্ঞা এবং সংকল্প হয়ে ওঠে ভারতীয় দলেরও ছবি। তাতে ভর করেই অভিষেক টেস্ট সিরিজে নিজের জাত চিনিয়েছেন মহম্মদ সিরাজ। নিজের কেরিয়ারের মাত্র তৃতীয় টেস্টেই দলের বোলিং বিভাগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তবে মেলবোর্নে শুরুটা মনের মতো হয়নি সিরাজের। বরং বক্সিং ডে টেস্টে প্রথমদিকে বোলিংয়ের জন্য তাঁর ডাক পড়েনি। পরে সিরাজকে আক্রমণে নিয়ে আসেন অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। কিন্তু শুরুতে নিজের ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। দেখে মনে হচ্ছিল, অভিষেক ম্যাচে স্নায়ুর চাপে কিছুটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। যদিও দ্রুত সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ান সিরাজ। মানার্স ল্যাবুশেনকে আউট করে ফেরেন নিজের ছন্দে। সেই উইকেটের পর মেলবোর্নের দ্বিতীয় টেস্টে যে বৃত্ত শুরু করেছিলেন, তা ব্রিসবেনের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে পূর্ণ করেন। সবমিলিয়ে তিন ম্যাচে নেন ১৩ টি উইকেট। দলকে জেতানোর ক্ষেত্রে তাঁর বড়সড় অবদান ছিল। চারিদিক থেকে আসছে প্রশংসা।
তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরেছেন সিরাজ। বিমানবন্দর থেকে নেমেই সোজা বাবার সমাধিস্থলে যান। প্রার্থনা করেন। পরে স্পোর্টস টুডে'তে একটি সাক্ষাৎকারে অভিষেক টেস্টের বিষয়ে বলেন, ‘অভিষেক ম্যাচের সময় ভেবেছিলাম যে আমি দলের জন্য ভালো করব। কিন্তু অনেকক্ষণ বোলিং না করায় আমার যে নার্ভাস লাগছিল, তা কেটে যায়। যখন আমি বল করতে এসেছিলাম, তখন ওভারের পর নিজের সঙ্গে কথা বলছিলাম। সেই সময় মার্নাস ল্যাবুশেন এবং ট্র্যাভিস হেডের জুটি ক্রিজে আরও জমে উঠছিল। আমি ভাবছিলাম যে এদের বিরুদ্ধেই তো ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলেছিলাম। আট উইকেট নিয়েছিলাম। ঘরোয়া ক্রিকেট, ভারতীয় এ দলের হয়ে ভালো খেলেছি। কিন্তু এখানে এসে টি-টোয়েন্টি, একদিনের ম্যাচে সবসময় ভালো করতে পারিনি। তাই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমায় এখানে ভালো করতে হবে। নিজের উপর ভরসা রেখেছিলাম। নিজেকে গালিগালাজ করেছিলাম। তারপর সেই পারফরম্যান্স এসেছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।