সিরিজ শুরুর আগে বিরাট কোহলি জানিয়েছিলেন, এটা ‘নয়া ভারত’। সিরিজ যখন শেষ হল, তখন তিনি ছিলেন না। তাতে ‘নয়া ভারত’-এর চারিত্রিক দৃঢ়তায় কোনও ছাপ পড়ল না। অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইতিহাস রচনা করল ভারত। আর সেই ‘নয়া ভারত’-এর ঐতিহাসিক জয়ে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ঋষভ পন্তের জয়সূচক শটের পরেই টুইটারে মোদী বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাফল্যে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। পুরো সিরিজজুড়েই তাঁদের অসামান্য শক্তি এবং আবেগ স্পষ্টত দেখা গিয়েছে। যেমন তাঁদের অভাবনীয় প্রতিজ্ঞা, অদম্য জেদ এবং সংকল্পের প্রমাণ মিলেছে। ভারতীয় দলকে অভিনন্দন। ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছা।’
শুধু মোদী নন, সেই ঐতিহাসিক জয়ের পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে টুইটার। জয়ের মাহাত্ম্য যে কতটা, তা প্রাক্তন ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকারদের দেখেই বোঝা গিয়েছে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেই টুইট করেন সচিন তেন্ডুলকর। লেখেন, ‘প্রতিটি সেশনে আমরা নতুন নায়ক খুঁজে পেয়েছি। যখনই আমরা ধাক্কা খেয়েছি, আমরা একসঙ্গে উঠে দাঁড়িয়েছে। ভয়ডরহীন খেলার বিশ্বাসের ক্ষেত্রে যে সীমা আছে, তা ছাপিয়ে গিয়েছি। কিন্তু আমরা অসাবধানতার ক্রিকেট খেলেনি। শান্ত এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে চোট-আঘাত এবং অনিশ্চয়তাকে জয় করেছি। অন্যতম সেরা সিরিজ জয়। অভিনন্দন ভারত।’
অথচ সেই দলকেই প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নাকানি-চোবানি খাইয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৩৬ রানেই ভারতের ইনিংস শেষ করে দিয়েছিলেন প্যাট কামিন্স, জোস হেজেলউড, মিচেল স্টার্করা। তারপর দেশে ফিরে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে কয়েকদিনের ব্যবধানে মেলবোর্নে জিতেছিল ভারত। তারপর চোট-আঘাতের কারণে ভারতের সমস্যা আরও বেড়েছিল। ব্রিসবেনে কার্যত দ্বিতীয়সারির দল নামাতে বাধ্য হয়েছিল ভারত। ভারত যে ম্যাচ জিততে পারে, তা অতি বড় সমর্থকও জোরের সঙ্গে বলতে পারেননি। সেখান থেকে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে ভারত। তাতে মুগ্ধ হয়েছেন খোদ মোদীও।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।