একেবারে হার না মানা লড়াই যাকে বলে। দাঁতে দাঁত কামড়ে মাটি আঁকড়ে লড়াই করে গেলেন বাবর আজম। ৪২৫ বলে ১৯৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন। যার জেরে হারের হাত থেকে বাঁচল পাকিস্তান। চতুর্থ ইনিংসে ১৯০-এর ঘরে রান রান করে নয়া নজিরও গড়লেন তিনি। স্পর্শ করলেন কুমার সাঙ্গাকারাকে।
২০০৭ সালে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সাঙ্গাকারা ১৯২ রান করেছিলেন। আর সেই ঘটনার ১৫ বছর পর ফের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯৬ করলেন বাবর। মাত্র চার রানের জন্য অধরা থাকল দ্বিশতরানের নজির। তবে চতুর্থ ইনিংসে সাঙ্গাকে টপকে গেলেন বাবর আজম।
কাকতালীয় ভাবে, দুই ব্যাটাসম্যানই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই নজির গড়েছেন। এবং দুই দলের সামনে প্রায় একই রকম লক্ষ্য ছিল- ৫০৭ এবং ৫০৬।
অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেটে ৫৫৬ রানের জবাবে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ১৪৮ রানে। ৪০৮ রানের বিশাল লিড নিয়েও পাকিস্তানকে ফলো-অন করতে বাধ্য করেনি অস্ট্রেলিয়া। পরিবর্তে নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে অজিরা। তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৮১ রান তুলেছিল। চতুর্থ দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে অযথা সময় নষ্ট করতে রাজি হননি প্যাট কামিন্সরা।
চতুর্থ দিনে সক্কাল সক্কাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাট ছেড়ে দেয়। ২ উইকেটে ৯৭ রানের মাথায় অজিরা তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। ফলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্যমাত্র দাঁড়ায় ৫০৬ রানের। এত বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। দলের ২ রানের মাথায় আউট হন ইমাম উল হক। তিনি মাত্র ১ রান করেছিলেন। আজহার আলি দলের ২১ রানের মাথায় আউট হন। তিনি করেন ৬।
এর পর বাবর আজম এবং আবদুল্লাহ শফিক। শফিক ৯৬ করে আউট হওয়ার পরেই ফাওয়াত আলমও মাত্র ৯ রান করে আউট হয়ে যায়। তার পর মহম্মদ রিজওয়ান নামলে, বাবরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। বাবরের ১৯৬ ছাড়াও রিজওয়ান করেন অপরাজিত ১০৪ রান। অস্ট্রেলিয়া অল আউট করতে পারেনি পাকিস্তানকে। পঞ্চম দিনের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৪৩ করে পাকিস্তান। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র হয়ে যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।