দলের স্বার্থে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে দু'বার ভাবেননি প্যাট কামিন্স। অজি দলনায়কের সিদ্ধান্তের সমালোচনা হলেও অস্ট্রেলিয়ার সামনে ম্যাচ জয়ের রাস্তা এখনও খোলা রয়েছে কামিন্স ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে দলকে প্রাধান্য দেওয়ায়।
বৃষ্টিতে সিডনি টেস্টের প্রায় দু'দিনের খেলা ভেস্তে গিয়েছে। প্রথম দিনে খেলা হয় মাত্র ৪৭ ওভার। দ্বিতীয় দিনের খেলা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হলেও তৃতীয় দিনে একটিও বল পিচে পড়েনি। চতুর্থ দিনেও খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরিতে।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ৪৭৫ রান তুলে ফেলেছিল দ্বিতীয় দিনের শেষেই। হাতে পর্যাপ্ত রসদ থাকায় চতুর্থ দিনে অযথা নিজেদের ইনিংসকে দীর্ঘায়িত করতে চাননি অজি দলনায়র প্যাট কামিন্স। তিনি সেখানেই নিজেদের প্রথম ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন।
যদিও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাট ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে ধাক্কা খায় উসমান খোওয়াজার আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে প্রথমবার ডাবল সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন। কেননা তাঁকে নট-আউট থাকতে হয় ব্যক্তিগত ১৯৫ রানে। অনেকেরই মত, উসমানকে ৫ রান করে দ্বিশতরান পূর্ণ করার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল কামিন্সের।
বিতর্কিত এই বিষটি ছাড়া চতুর্থ দিনের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার দাপট দেখা যায় আগাগোড়া। প্রথম ইনিংসে পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে ৬ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে। প্রোটিয়ারা সাকুল্যে ব্যাট করে ৫৯ ওভার।
ডিন এলগার ১৫, সারেল এরউই ১৮, এনরিখ ক্লাসেন ২, তেম্বা বাভুমা ৩৫, খায়া জোন্দো ৩৯ ও কাইল ভেরেইন ১৯ রানে আউট হন। দিনের শেষে ১০ রানে নট-আউট থাকেন মারকো জানসেন। ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন সাইমন হার্মার।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্যাট কামিন্স ২৯ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন। ২৯ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন জোশ হ্যাজেলউড। ৬৫ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পুরেছেন ন্যাথন লিয়ঁ। এখনও উইকেট পাননি অ্যাস্টন এগর ও ট্রেভিস হেড।
অস্ট্রেলিয়ার থেকে প্রথম ইনিংসের নিরিখে দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও ৩২৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে। ফলো-অন এড়াতে এখনও বিস্তর পথ হাঁটতে হবে প্রোটিয়াদের। সুতরাং, শেষ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফলো-অন করাতে পারলে অস্ট্রেলিয়ার সামনে জয়ের সুযোগ চলে আসতে পারে।
যদিও কাজটা সহজ হবে না মোটেও। কেননা ফলো-অন করিয়ে ম্যাচ জয়ের জন্য সবার আগে শেষ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৪টি উইকেট তুলতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।