বছর ঘুরে যায়, দলের বিন্যাস বদলে যায়, কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডারকে আউট না করতে পারার যে পুরনো রোগ ভারতের, তার কোনও নিরাময় হয় না। সিডনিতে সাইড ম্যাচে বল হাতে ভালো শুরু করলেও অস্ট্রেলিয়া এ দলকে লিড নেওয়া থেকে আটকাতে পারল না ভারত। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া ও ২৮৬-৮, ১১৪ রান করে অপরাজিত তরুণ প্রতিভা ক্য়ামেরন গ্রিন।
৯৮ রানে একসময় পাঁচ উইকেটে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া এ। তারপর ১০৪ রানের পার্টনারশিপ করেন টিম পেইন ও ক্যামেরন গ্রিন। পেইন আউট হন ৪৪ রান করে, কিন্তু নিজের অনবদ্য ফর্ম ধরে রাখেন ক্যামেরন গ্রিন। শতরানের পথে ২৪ ও ৭৮ রানে যদিও জীবনদান পান তিনি। প্রথমে বিহারি ও পরে ঋদ্ধি তাঁর ক্যাচ ফেলেন। পেইনের পর তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন নেসের ৩৩ রান করে।
শুরুটা যদিও ভালোই করেছিল ভারত, অস্ট্রেলিয়া এ-র বিরুদ্ধে। পুকোসভিকে এক ও বার্নসকে চার রানে সাজঘরে ফেরান উমেশ। পরে পেইনকেও আউট করেন তিনি। ৩৫ রানে হ্যারিস ও ২৩ রানে ম্যাডিনসনকে ফেরান অশ্বিন। ভালো বল করেন সিরাজও। তুলে নেন অধিনায়ক হেডের উইকেট ১৮ রানের মাথায়। আউট করেন প্যাটনসনকেও।
পাঁচ উইকেট হারিয়ে অজি এ দল যখন চাপে, তখন কোনও এক কারণে কার্তিক ত্যাগীকে দিয়ে ৯ ওভার বল করান তিনি। সেখানেই রানের আগল খুলে যায়, ৫১ রান যায় কার্তিকের বোলিংয়ে। অন্যদিকে অশ্বিন অতটা সফলতা পেলেও চা পানের বিরতি অবধি অপর স্পিনার কুলদীপকে দেওয়া হয় মাত্র চার ওভার! এদিন বেশ কিছু ক্যাচও ফেলে ভারত যা আরও চাপ বাড়িয়েছে দলের ওপর। প্রথম ইনিংসে ২৪৭-৯ ডিক্লেয়ার করে ভারত, রাহানে করেন সেঞ্চুরি। অজি এ দল ইতিমধ্যেই সেই রান পেরিয়ে গিয়ে নৈতিক জয় পেয়ে গেল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।