আলাদা আলাদা ফর্ম্যাটে ভিন্ন অধিনায়কের বিষয়ে তো সকলেই অবগত, তবে ভিন্ন ফর্ম্যাটে ভিন্ন কোচের বিষয়ে শুনেছেন এর আগে? বিশ্বক্রিকেটে এই নিয়ে ইংল্যান্ডে বিশেষত বেশ জল্পনা হলেও তার বাস্তবে রূপায়ণ কিন্তু দেখা যায়নি। তবে এই কাজটাই করতে পারে অস্ট্রেলিয়া।
কিছুদিন আগেই রিকি পন্টিং এক সাক্ষাৎকারে জানান তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার কোচের হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই বিষয়ে কথাবার্তা একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। সেইখানেই ভিন্ন ফর্ম্যাটে ভিন্ন কোচের কথা তুলে তিনি জানান, মূলত সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর সঙ্গে দায়িত্বে নেওয়া নিয়ে কথা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সেই জল্পনা ফের একবার উস্কে দিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও নিক হকলে।
প্রথমেই বর্তমান কোচ ল্যাঙ্গারের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে হকলে জানান, ‘জেএলসহ (জাস্টিন ল্যাঙ্গার) গোটা কোচিং স্টাফই দারুণ করছে। আমি বারবারই বলে এসেছি, আমরা দুই সিরিজের ওপর বেশি গুরুত্ব দেব, এক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যেখানে দল দুর্ধর্ষ খেলে ট্রফি ঘরে এনেছে। দ্বিতীয় হল অ্যাসেজ সিরিজ, যেখানেও জেএল ভাল করছে এবং আমি জানি সিরিজ জিততে দল কতটা বদ্ধপরিকর।’
তবে বর্তমান কোচের কাজে সন্তুষ্ট হলেও, তার ভবিষ্যতের বিষয়ে কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না তিনি। ‘মরশুম শেষে আমরা এই বিষয়ে আলোচনায় বসব। পরের বছরের মাঝামাঝি অবধি ল্যাঙ্গারের চুক্তি রয়েছে এবং ও সেই অবধি যে দলের দায়িত্বে থাকছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সামনেই পাকিস্তান সফরের পাশপাশি আরও অনেক ক্রিকেট আসছে। সেই কথা মাথায় রেখেই অ্যাসেজের পর আমরা আলোচনায় বসব।’ বলেন হকলি।
এই মন্তব্যের জেরেই ল্যাঙ্গারের ভবিষ্যত নিয়ে পুনরায় জল্পনা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে তিনি কোচ থাকলেও স্রেফ টেস্ট দলের দায়িত্ব সামলাবেন। এমনিতেই বিশ্বক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার মতো শীর্ষস্তরের দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব প্রচুর। তার ওপর ব্যস্ত সূচি এবং করোনার কারণে নানা বিধিনিষেধের জেরে কোচেদের প্রায় তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করাই সম্ভব হচ্ছে না। ভিন্ন ফর্ম্যাটে ভিন্ন কোচ রাখা হলে কাজের চাপও কমবে এবং পরিবারের সঙ্গেও কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন দলের কোচেরা। মূলত এই চিন্তা থেকে ভিন্ন ফর্ম্যাটে আলাদা আলাদা কোচের তত্ত্বের উৎপত্তি।