শুভব্রত মুখার্জি
এখন আইপিএলের জমানা। টেস্ট ক্রিকেটের থেকে ২০ ওভারের ম্যাচ খেলাই যেন বেশি পছন্দ করেন অনেক ব্যাটসম্যানের। ক্রিজে ব্যাট হাতে নেমেই প্রথম বল থেকেই চার-ছয়ের বন্যা। তাতে একদিকে যেমন ক্রিকেট খেলাটা একপেশে হচ্ছে, ব্যাটসম্যানদের দিকে বেশি ঝুঁকছে, বোলারদের জন্য পিচে কার্যত কিছুই থাকছে না, ঠিক তেমনই ব্যাটসম্যানদের টেকনিক নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন উঠছে। এখন রাহুল দ্রাবিড়, ভি ভি এস লক্ষ্ণণ, সচিন তেন্ডুলকর, স্টিভ ওয়া, রিকি পন্টিং, জ্যাক কালিসদের মতো টেকনিকালি নিখুঁত ব্যাটসম্যানদের অভাব বিশ্বজুড়েই।
আর ঠিক এই জায়গাতেই অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। এমনকী তরুণ প্রজন্মের প্রতিভাদেরও ব্যাটিং টেকনিকের অবস্থা তথৈবচ। পৃথ্বী শ যেভাবে অ্যাডিলেড টেস্টের দুই ইনিংসে বোল্ড আউট হয়েছেন, তা এই কথাকেই প্রমাণ করে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত। একমাত্র চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্কা রাহানে এবং বিরাট কোহলি ছাড়া বাকিদের টেকনিকের বিষয়ে যতটা কম বলা যায় ততই ভাল।
এর ফল ভুগতে হচ্ছে ভারতকে। 'সেনা' ( সাউথ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া) দেশগুলিতে যেখানে পিচে বল সিম, সুইং হয় বা বাউন্স অপেক্ষাকৃত বেশি সেখানেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে ভারতকে। এমনকী দেশের মাঠেও সেই রেশ পরিবর্তন হয় না। পিচে পেসারদের কিছুটা সাহায্য থাকলেই ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপের কী হয়, তা দেখিয়েছিল ২০১৭ সালের পুণে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট। সেই ধারা বজায় রেখে অ্যাডিলেডে টেস্টেও সেটাই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল।
আর এই ব্যাপারেই এবার মুখ খুললেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তিনি টুইটারে লিখেছেন, 'এই ৩৬ স্কোরটাকে আমাদের আলাদাভাবে দেখতে হবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু বল যখন নড়াচড়া করেছে, সেরকম শেষ তিনটি টেস্টে (যার মধ্যে দুটি খেলা হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের) ভারতের স্কোর ১৬৫, ১৯১, ২৪২, ১২৪, ২৪৪ এবং ৩৬। এটা পরিস্কার যে ভারতকে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং দক্ষতাকে উন্নত করতে হবে। আর এটা রাতারাতি সম্ভব নয়।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।