আইনি পথেই নৈতিক জয় হল ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি পদে ফের ফিরে এলেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ওম্বুডসম্যান বিচাপরপতি দীপক ভার্মা এই নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে এইচসিএর কাউন্সিলের পাঁচ শীর্ষ পদাধিকারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন তিনি। হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদ থেকে আজহারকে সরানোর পাশাপাশি তাঁর সদস্যপদ খারিজ করেছিলেন সচিব-সহ কয়েকজন কর্তা, যাঁরা আজহারের বিরোধী শিবির বলে পরিচিত। এদিনের অন্তর্বর্তী নির্দেশে বিচারপতি ভার্মা জানান, আজহারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে ওম্বুডসম্যানকে কিছু জানানো হয়নি। অভিযোগের কোনও আইনি প্রমাণ নেই।
হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমন কী এইচসিএ-র সদস্যপদও কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁর। আজহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তিনি বোর্ডের নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। তাঁকে শো-কজ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি দুবাইয়ের একটি ক্রিকেট ক্লাবের সদস্য, অথচ সে কথা গোপন রেখেছিলেন। তিনি এই তথ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে জানাননি। বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, এটা জানানো বাধ্যতামূলক। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছিল আজহার দুবাইয়ের যেই ক্লাবের সদস্য তারা এমন একটি ক্রিকেট লিগে অংশ নেয় যা ভারতীয় বোর্ড স্বীকৃত নয়। এর বাইরেও এইচসিএ-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
আজহার আগেই জানিয়েছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী সচিব বার্ষিক সাধারণ সভা, বিশেষ সাধারণ সভা, অ্যাপেক্স কাউন্সিলের মিটিং, গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিং ডাকতে পারেন সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর অনুমতি নিয়েই। কিন্তু সচিব সেটা করেননি বলে আজহার দাবি করেছিলেন। এদিকে বিচাপরপতি দীপক ভার্মা বলেন, 'শীর্ষ কাউন্সিল হাইকোর্টকে না জানিয়ে নিজে নিজে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।' পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিস জারি করেন তিনি। জানান, আজহারের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেওয়া থেকে যেন কাউন্সিল বিরত থাকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।