রাজস্থানের ভরতপুরে লোহাগড় স্টেডিয়ামে একটি কুস্তি টুর্নামেন্টের আসর বসেছিল। সেখানে রীতিকাও অংশ নেন। সেই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল ১৪ মার্চ। মাত্র ১ পয়েন্টের জন্য ফাইনালে হেরে যান রীতিকা। তার পর থেকেই গভীর অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর পথ বেছে নেন। গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রীতিকাকে উদ্ধার করা হয়। আপাতত রীতিকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে রাজস্থানের টুর্নামেন্টে হারকেই মনে করা হচ্ছে। তবে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত পাঁচ বছর ধরে রীতিকা কুস্তির প্রশিক্ষণ শুরু করেন। মহাবীর ফোগতের কাছেই। এই কয়েক বছরে বহু টুর্নামেন্টেই অংশ নিয়েছেন। সাফল্যও পেয়েছেন। ৫৩ কেজি বিভাগে অংশ নিতেন রীতিকা। ববিতাদের মতো বড় কুস্তিগীর হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। জানা গিয়েছে, রাজস্থানে এই টুর্নামেন্টে উপস্থিত ছিলেন মহাবীর ফোগত নিজেও। নিজের গুরুর সামনে মাত্র ১ পয়েন্টের জন্য হেরে যাওয়াটা মানতে পারেননি রীতিকা। এর পরেই অবসাদে ভুগতে শুরু করেন। সোমবার রাত ১১টা নাগাদ বালাইয়ের বাড়িতে নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ময়নাতদন্তের পর মঙ্গলবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
১৪ মার্চ হারের পর রীতিকা নাকি এতটাই অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন, সেটা দেখার পর মহাবীর ফোগত তাঁকে মোটিভেট করার চেষ্টা করেছিলেন। বুঝিয়েছিলেন, হার-জিত খেলারই অংশ। একটা ম্যাচ হারা মানে জীবনের সবটা শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এই ম্যাচ হারলেও, পরের ম্যাচে জিততে হবে। ঘুরে দাঁড়াতে হবে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। ১৪ তারিখ ম্যাচ হারার পর দিনই জীবনের চরম সিদ্ধান্ত নেন রীতিকা।
এই ঘটনায় গভীর শোকে ডুবে গিয়েছে রীতিকার পরিবার। প্রতিভাবান এই কুস্তিগীরের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ভারতের ক্রীড়া মহলেও। তবে শুধুমাত্র রাজস্থানে অনুষ্ঠিত একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হারের কারণেই রীতিকা মৃত্যুর পথ কেন বেছে নিলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।