বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রবিবার প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক খেলতে নামবে ভারত। ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে এই নিয়ে অষ্টম বারের মতো জাতীয় দলের হয়ে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছেন রোহিত শর্মা। অবশ্য অধিনায়ক হওয়ার পর এই প্রথম বার বাংলাদেশ গেলেন তিনি। যে কারণে এই সফর তাঁর কাছে বড় চ্যালেঞ্জের। পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে ইংল্যান্ডের কাছে লজ্জাজনক ভাবে ১০ উইকেটে হেরে ছিটকে যাওয়ার পর, রোহিতের নেতৃত্বে ফের কোনও সিরিজ খেলছে ভারত। আর সেই সিরিজেও খারাপ ফল হলে, চাপে পড়ে যাবেন হিটম্যান।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই সিরিজ থেকেই কি ভারত বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দেবে? এর উত্তরে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিত শর্মা বলেন, ‘যখনই কোনও ম্যাচ থাকে, নিশ্চিত ভাবেই তাতে কোনও না কোনও প্রস্তুতি চলতেই থাকে। বিশ্বকাপ শুরু হতে মাস দশেক বাকি। এখনই অতটা দূরের বিষয় নিয়ে চিন্তা করছি না। দল হিসেবে কী করণীয় সে দিকেই নজর থাকবে। একসঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা না করা দলের ক্ষেত্রেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কী করণীয় সেই সম্পর্কে আমার ও হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের স্পষ্ট ধারণা রয়েছে। বিশ্বকাপ যত এগিয়ে আসবে ততই সুসংহত হবে যাবতীয় পরিকল্পনা।’
আরও পড়ুন: যতবারই আঘাত পেয়েছি, ততবারই শিখেছি- বাংলাদেশ সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়ে শামির বার্তা
পরিসংখ্যানের হিসেবে মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে ভারত। টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে যে কোনও সংস্করণ মিলিয়ে বাংলাদেশ শেষ বার জিতেছিল তিন বছর আগে। তবে নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশ যে বড় চ্যালেঞ্জ জানাবে, এই নিয়ে কোনও সংশয় নেই রোহিতের। গত সাত-আট বছরের বাংলাদেশ দলকে আলাদাও মনে করেন তিনি।
ভারত অধিনায়ক স্পষ্ট বলে দেন, ‘কয়েক বছর ধরেই এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা রোমাঞ্চকর। গত সাত-আট বছরের বাংলাদেশ দল আলাদা। ওরা খুবই চ্যালেঞ্জিং, আমরা সহজে জিতিনি। ওদের বিপক্ষে জিততে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
আরও পড়ুন: সময়ে না খাবার পেয়েছেন, না লাগেজ- এয়ারলাইন্সের পরিষেবা নিয়ে রেগে লাল দীপক চাহার
দুই দলের সর্বশেষ দেখা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সুযোগ পেয়েও সেখানে ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। রোহিত মনে করিয়ে দিয়েছেন সে লড়াইয়ের কথাও। তিনি বলেছেন, ‘ওদের সঙ্গে প্রতি বারই আমাদের খুবই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এমন কী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটিও তাই ছিল। ২০১৫ সালে তো সিরিজ হেরেছিলাম। আমরা জানি, গত কয়েক বছরে ওরা অনেক উন্নতি করেছে। ফলে জিততে গেলে আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। আমাদের জন্য লড়াই সহজ হবে না।’
ঋষভ পন্তের মতো অনেকে রয়েছেন, যাঁরা বাংলাদেশ সিরিজ ধরলে টানা আড়াই মাস খেলবেন। ঠাঁসা ক্রীড়াসূচির কথা ভেবে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বের কথা বলেছেন রোহিত। তাঁর দাবি, ‘পেশাদার হিসেবে ইনটেনসিটি বজায় রাখতে হবে। সামনে অনেক ক্রিকেট রয়েছে। সে কারণেই ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হয়। ফলে যখন কাউকে দলের বাইরে রাখা হয়, তখন সকলের এটা বোঝা উচিত সেটা করা হচ্ছে বৃহত্তর বিষয়ের কথা ভেবে ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করতেই। ক্রিকেট চলতেই থাকবে। ফলে সব দিক বিবেচনা করেই ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়ে থাকে। কেন না, খেলার মাঠে ক্রিকেটারদের তরতাজা থাকারও গুরুত্ব রয়েছে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।