এতদিন দেশের মাটিতে তথাকথিত বড় দলের বিরুদ্ধে জয় আসছিল। এবার বিদেশেও বাজিমাত করল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে একদিনের ক্রিকেটে সেই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর টাইগারদের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বললেন, ‘এটা (এই সিরিজ জয়টা) একেবারে উপরে থাকবে।’
তিন ম্যাচের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারানোর পর তামিম বলেন, ‘এটা বিশাল। সিনিয়রদের জন্য এটা বিশাল কৃতিত্ব। এটা একেবারে সকলের উপরে রাখব আমি। আমরা যখন বিদেশ সফরে যাই, তখন আমরা ম্যাচ এবং সিরিজ জিততে পারি। আমরা একদিনের ক্রিকেটে (ভালো খেলতে পারায়) যথেষ্ট গর্বিত বোধ করি। এই ফর্ম্যাটে আমরা অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। বিদেশে জিততে না পারার বিষয়টি সেটা ফাঁক থেকে যাচ্ছিল। আর এভাবে আমরা কোনওভাবে সেটা (সেই কৃতিত্ব অর্জন) করেছি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশের তৃতীয় একদিনের ম্যাচের আপডেট
বুধবার ইতিহাস তৈরি করেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার একদিনের সিরিজ জিতেছেন টাইগাররা। শুধু তাই নয়, যে কোনও ফর্ম্যাটে এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার ডেরায় গিয়ে প্রোটিয়াদের নজির গড়েছে বাংলাদেশ। যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাসকয়েক আগে উড়ে গিয়েছিল ভারত।
তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ অবস্থায় বুধবার মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরিয়নে তাসকিন আহমেদের দাপটে দাঁড়াতেই পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৭ ওভারে ১৫৪ রানে অলআউট হয়ে যান প্রোটিয়ারা। ন'ওভারে ৩৫ রানে পাঁচ উইকেট নেন তাসকিন। দুটি উইকেট নেন শাকিব আল হাসান। ন'ওভারে মাত্র ২৪ রান দেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। একটি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম এবং মেহদি হাসান মিরাজ।
আরও পড়ুন: মাসকয়েক আগেই উড়ে গিয়েছিল ভারত, সেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইতিহাস টাইগারদের!
সেই রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে বাংলাদেশ। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার থরহরিকম্প অবস্থা হচ্ছিল, সেখানেই দলকে বিনা উইকেটে ১০০ রান গণ্ডি পার করিয়ে দেন অধিনায়ক তামিম এবং লিটন দাস। তারইমধ্যে ৫২ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন তামিম। তারইমধ্যে জুটিতে রেকর্ড গড়ে ফেলেন তামিম এবং লিটন। দেশের বাইরে একদিনের ক্রিকেটে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান করার নজির গড়েন। ভেঙে দেন নিজেদেরই রেকর্ড।
একটা সময় তো মনে হচ্ছিল, ১০ উইকেটেই জিতে যাবে বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত ২০.৫ ওভারে কেশব মহারাজের বলে আউট হয়ে যান লিটন। ততক্ষণে ১২৭ রান তুলে ফেলেছে বাংলাদেশ। তবে মাত্র দু'রানের জন্য অর্ধ-শতরান হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের তারকার। তারপর বাকি কাজটা শেষ করে আসেন শাকিব এবং তামিম। কাগিসো রাবাডার বলে চার মেরে বাংলাদেশকে ঐতিহাসিক সিরিজে জয়ী করেন। যিনি পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও দেশে ফিরে আসেননি। ২০ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৮২ বলে ৮৭ রান করেন তামিম।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।