দু-একবার নয়, বরং চার-চারবার জীবনদান পেলে যে কোনও ক্রিকেটারই ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ম্যাচে ঠিক তেমনটাই করতে দেখা যায় কুশল মেন্ডিসকে। শ্রীলঙ্কার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ইনিংসের ওপেন করতে নেমে দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ফলে বাংলাদেশের ঝুলিয়ে দেওয়া বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে উত্তেজক জয় ছিনিয়ে নেয় দ্বীপরাষ্ট্র এবং এশিয়া কাপের সুপার ফোর রাউন্ডে প্রবেশ করে। নিজেদের দোষেই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় গত দু'বারের ফাইনালিস্ট বাংলাদেশকে।
ম্যাচের শুরুতেই মেন্ডিসের ক্যাচ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম:
১.৬ ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ ছাড়েন উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম। বল একাধিকবার মুশফিকের দস্তানায় লাগে, তবে শেষমেশ তা ধরতে পারেননি রহিম। মেন্ডিস তখন ব্যাট করছিলেন ৩ বলে ২ রান করে।
পাওয়ার প্লে-র ঠিক পরেই নো-বলে আউট হয়ে বেঁচে যান মেন্ডিস:
৬.৬ ওভারে মেহেদি হাসানের বলে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন কুশল মেন্ডিস। তবে মেহেদি ওভার-স্টেপ করায় সেটি নো-বল হয়। ফলে আউট হয়েও সে যাত্রায় বেঁচে যান মেন্ডিস। কুশল তখন ব্যট করছিলেন ১৬ বলে ২৯ রান করে।
অষ্টম ওভারে বাংলাদেশ রিভিউ না নেওয়ায় ক্যাচ আউট হয়েও বেঁচে যান কুশল:
৭.৫ ওভারে এবাদত হোসেনের লেগ সাইডের বাইরের বলে পুল শট নেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস। বল তাঁর গ্লাভসে লেগে উইকেটকিপার মুশফিকুরের দস্তানায় জমা পড়ে। আম্পায়ার ওয়াইড বলের সংকেত দেন। সংশয় থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ রিভিউ নেয়নি। পরে আল্ট্রা এজে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, বাংলাদেশ ডিআরএস নিলে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হতো মেন্ডিসকে। তিনি তখন ব্যাট করছিলেন ১৯ বলে ৩১ রান করে।
১১তম ওভারে মেন্ডিসকে রান-আউটের সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ:
১০.৩ ওভারে মেন্ডিসকে রান-আউট করার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। সেই সময় তিনি ব্যাট করছিলেন ২৬ বলে ৪৪ রান করে।
মেন্ডিস শেষমেশ ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৬০ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। প্রথমবার জীবনদান পাওয়ার পরে কুশল নিজের ও দলের ইনিংসে যোগ করেন ৩৪ বলে ৫৮ রান। দ্বিতীয়বার জীবনদান পাওয়ার পরে তিনি যোগ করেন ২১ বলে ৩১ রান। তৃতীয়বার জীবনদান পাওয়ার পরে তাঁর বাড়তি সংযোজন ১৮ বলে ২৯ রান। শেষবার বেঁচে যাওয়ার পরে কুশল যোগ করেন ১১ বলে ১৬ রান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।