শুভব্রত মুখার্জি
রূদ্ধশ্বাস একটা ফাইনালের সাক্ষী ছিল বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের একটা দুর্দান্ত ফাইনালের সাক্ষী ছিলেন ক্রিকেট ভক্তরা। শিরোপা নির্ধারণের ম্যাচে টানটান উত্তেজনা দেখা গিয়েছিল। আর সেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছিল জেমকন খুলনা।
পাঁচ রানে জিতে শিরোপা জিতেছে খুলনা। শেষ বলে গিয়ে ফয়সালা হয়েছিল ফাইনালের। ফাইনালে কেরিয়াররের সেরা ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা পুরস্কার জিতেছেন খুলনা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচের সেরার ট্রফি নিজের দুই ছেলেকে উৎসর্গ করেছেন। সিরিজের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
শুক্রবার ১৫৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত সূচনা করেন লিটন এবং সৌম্য। শুভাগত হোমের বলে ১২ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার পরে ভেঙে যায় ২৬ রানের ওপেনিং জুটি। ২৩ বলে দুটি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৩ রান করে লিটন রান-আউট হয়ে যান। অধিনায়ক মিঠুন সাত রানে ফেরার পর লড়াই চালান সৈকত আলি ও শামসুর রহমান। ২১ বলে ২৩ করে শামসুর হাসান মাহমুদের বলে আউট হন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬ রানের। বোলার শহিদুল ইসলামের প্রথম বলে এক রান নেন সৈকত আলি। পরের বলে মোসাদ্দেক নেন দু'রান। তৃতীয় বলে ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান মোসাদ্দেক। পরের বলে বোল্ড হন ৪৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলা সৈকত আলি। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। নাহিদুল ইসলাম শেষ বলে ছয় মেরেও দলের হার বাঁচাতে পারেননি। নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে চট্টগ্রাম ছ'উইকেটে ১৫০ রান তুলতে সমর্থ হয়।
মীরপুরে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে জেমকন খুলনা। ইনিংসের প্রথম বলে ওপেনার জহরুল (০) আউট হয়ে যান। দলীয় ২১ রানে আউট হন ইমরুল কায়েস (৮)। ওপেনার জাকির হাসান ২০ বলে ২৫ রান করে আউট হন। ৪৮ বলে মাহমুদউল্লাহের ৭০ রানে অপরাজিত ইনিংসের সৌজন্যে চট্টগ্রামের সামনে ১৫৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় খুলনা। যা তাড়া করতে গিয়ে পাঁচ রান দূরেই থেমে যায় চট্টগ্রাম। ফলে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের শিরোপা ঘরে তুলে নিল খুলনা।