শুভব্রত মুখার্জি: বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই মুহূর্তে বোর্ড বনাম রাসেল ডমিঙ্গো নাটক চরমে। টি-২০ ক্রিকেটে ডমিঙ্গোর ডানা ছেটেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড অর্থাৎ বিসিবি। আর তারপরেই একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ বিসিবির বিরুদ্ধে এনেছেন এই প্রোটিয়া কোচ। তার অভিযোগ তাকে নাকি ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে চিৎকার চেঁচামেচির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল! পাশাপাশি 'বহিরাগত' হস্তক্ষেপের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডুরান্ডে এয়ারফোর্সের ফুটবলাররা বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ করেছেন, দাবি সুনীলের বেঙ্গালুরুর
ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডমিঙ্গো দাবি করেছেন 'আমি মনে করি আমরা টি-২০তে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলছিলাম। ২০২১ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের পরে ছেলেরা আর 'বহিরাগত' চাপ একদম নিতে পারেনি। মূলপর্বে আমাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আমাদের ম্যাচ জেতা উচিত ছিল। পরবর্তীতে তিন শক্তিধর দেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের বিরুদ্ধে খুব সহজেই ম্যাচ জিতেছিল। তারপর আমাদের সত্যিই কোনও সাহস ছিল না। তারপর দেশের মাটিতেও আমরা পাকিস্তানের কাছে হারি। এরপর থেকেই সবকিছু বদলে যেতে শুরু করে। নির্বাচকরা দলের আমূল পরিবর্তন করেন। অনেক নতুন ক্রিকেটার দলে আসেন। কোনও ধারাবাহিকতা ছিল না। সবকিছু নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যেতে থাকে। প্রথম পর্যায়ে আমরা দুটি ম্যাচ হারার পরে শাকিব এবং সইফুদ্দিন চোট পেয়ে যায়। দলের মধ্যে খুব বেশি টেনসন ছিল। ক্রিকেটাররা স্বাধীনভাবে চিন্তাভাবনা করতেও পারেনি।'
তিনি আরও যোগ করেন 'শেষ ৮-১০ বছরে ক্রিকেটাররা এইধরনের কোচিং পায়নি। তারা নিজেদের মতো করে ভাবতে পারে না কারণ বোর্ডের তরফ থেকে তাদেরকে বকাবকি করা হয়। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। আপনি ক্রিকেটারদের জিজ্ঞাসা করতে পারেন আমি ড্রেসিংরুমে একটা শান্ত বাতাবরন তৈরি করতে চেয়েছিলাম। ক্রিকেটারদের মাথার মধ্যে স্বচ্ছতা আনতে চেয়েছিলাম। সবসময় আমাকে বলা হত তোমাকে ওদের উপর চিৎকার চেঁচামেচি করতে হবে। কঠোরভাবে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। আমি নিশ্চিত আগের কোচরা এইরকম ছিল। তবে সেইভাবে টি-২০তে কোন উন্নতিই কিন্তু হয়নি।'