শুভব্রত মুখার্জি: চলতি বছরের শেষেই ভারতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। উপমহাদেশের মাটিতে বিশ্বকাপের আসর হওয়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবেই বাংলাদেশের উপরেও থাকবে প্রত্যাশা পূরণের চাপ। আর বিশ্বকাপে ভালো পারফরম্যান্স করার কথা মাথাতে রেখেই ডেভিড মুরকে হেড অফ প্রোগ্রামস হিসেবে নিয়োগ করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফেব্রুয়ারি মাসেই বাংলাদেশে চলে আসবেন ৫৮ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান। তাঁর সঙ্গে বিসিবির চুক্তি হয়েছে দুই বছরের। হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি) ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ক্রিকেট বিষয়ক সমস্ত কিছু দেখভাল করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: ছিপছিপে চেহারার ছেলে চাইলে,ফ্যাশান শো'তে যান- সরফরাজের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ সানির
প্রসঙ্গত যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে ডেভিড মুরের। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিট ও বাংলা টাইগার্সের কার্যক্রমের পরিকল্পনা করার পাশাপাশি সমস্ত রকম কৌশল ঠিক করবেন মুর। বলা যায় শাকিবদের ক্রিকেটের সাপ্লাই লাইন তৈরি করবেন তিনি। এইচপি এবং বাংলা টাইগার্স থেকে সরাসরি লাভবান যাতে হয় জাতীয় দল সেই উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত। বিষয়টি নিয়ে মুর জানিয়েছেন ‘বিসিবি-র হেড অফ প্রোগ্রাম হিসেবে নিয়োগ পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত। প্রধান কোচ, তাঁর কোচিং ও সাপোর্ট স্টাফ এবং ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করব আমি। প্রতিভা খুঁজে বের করে আনতে তাদের সহযোগিতা করতে মুখিয়ে রয়েছি আমি।’
প্রসঙ্গত কোনও দিনও জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি মুর। নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে একটিমাত্র প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন তিনি। কোচিংয়ে তাঁর বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাও প্রচুর। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বারমুডার সিনিয়র দলের কোচ হিসেবেও কাজ করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সিনিয়র দল সংক্ষিপ্ত ফর্ম্যাটে ভালো খেললেও, দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে তাদের পারফরম্যান্স একেবারেই ভালো নয়। ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও, টেস্ট সিরিজে তাদের হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মুরের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে মুস্তাফিজুর রহমানদের যোগ্য উত্তরসূরি তৈরি করা। ভালো পেসার তোলার পাশাপাশি ভালো মানের স্পিনার এবং অবশ্যই শাকিব আল হাসানের মতন বিশ্বমানের অলরাউন্ডারকে খুঁজে তুলে আনাই হবে তাঁর সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।দ্বিতীয়ত ভারতে বিশ্বকাপের আসর শুরু হওয়ার আগে একজন মিডল অর্ডার পাওয়ার হিটারকে তৈরি করাটাও বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে মুরের। এমনটাই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।