প্রথমার্ধে ২-০ এগিয়ে থাকার পরও, লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ৩-৩ ড্র করল। তাও এমন দলের সঙ্গে, যারা শেষ ৫ ম্যাচ জয়ের মুখ দেখেনি। চারটিতেই হেরেছে। সেই দলের কাছেই নাকি নাকানিচোবানি খেলেন লিও মেসিরা। যার ফল, লা লিগা জয়ের আশা ক্রমশ ফিকে হচ্ছে বার্সেলোনার। এর পরের দু'ম্যাচ জিতলেও সে ভাবে আর কিছুই হওয়ার নেই। তবে যদি আটলেটিকো মাদ্রিদ এবং রিয়াল মাদ্রিদ দুই দলই পয়েন্ট নষ্ট করে, তবে হয়তো ছবিটা বদলাবে।
প্রথমার্ধে বার্সেলোনাকে আক্রমণাত্মক মেজাজে পাওয়া গিয়েছিল। ২৫ মিনিটে মেসি এবং ৩৩ মিনিটে পেড্রির গোলে ২-০ এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সব হিসেবটা বদলে দিল লেভান্তে। বার্সাকে কোণঠাঁসা করে ম্যাচের রং বদলাতে শুরু করে তারা। ৫৬ এবং ৫৯ মিনিটে, মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধান গনজালো মেলেরো এবং মোরালেসের গোলে সমতা ফেরায় লেভান্তে।
চাপে পড়ে গিয়েও উসমান দেম্বেলের গোলে ফের এগিয়ে যায় বার্সা। কিন্তু ৩-২ এগিয়েও স্বস্তি পেল না তারা। ম্যাচের ৮২ মিনিটে পরিবর্তে নামা সার্জিও লিওন ৩-৩ করেন।
এই ম্যাচ ড্র করার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে বার্সার ডিফেন্স নিয়ে! বার বার এগিয়ে থাকার পরও লিগ তালিকায় ১৩ নম্বরে থাকা দল কী ভাবে বারবার গোলশোধ করে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়ে গেল, সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
এই ম্যাচ ড্র করায় ৩৬ ম্যাচে ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকল রোনাল্ড কোম্যানের দল। যদিও আটলেটিকো এবং রিয়াল তাদের চেয়ে একটি করে ম্যাচ কম খেলেছে। আটলেটিকো ৩৫ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল। আর ৩৫ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার তিনে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। মোদ্দা কথা, রিয়াল আর আটলেটিকো পয়েন্ট নষ্ট না করলে, বার্সার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।