ম্যাচের আগে ভিদাল দাবি করেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে মাঠে নামতে হবে বিশ্বের সেরা দলের বিরুদ্ধে। ম্যাচের শেষে মুখ লুকোনোর জায়গা খুঁজতে পারেন তিনি। কেননা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়নদের হাতে যেভাবে লাঞ্ছিত হতে হয় বার্সেলোনাকে, তা এককথায় নজিরবিহীন।
লিসবনে বার্সেলোনাকে ৮-২ গোলের অবিশ্বাস্য ব্যবধানে পরাজিত করে সেমিফাইনালের টিকিট পকেটে পোরে বায়ার্ন। দুই অর্ধে ৪টি করে গোল করে মিউনিখ। বার্সা দুই অর্ধে দু'বার ব্যবধান কমালেও একটি গোল ছিল আত্মঘাতী। অর্থাৎ, নিজেদের কৃতিত্বে একবার মাত্র বায়ার্নকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয় কাতালান ক্লাব।
ম্যাচের প্রথমার্ধে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে জোড়া গোল করেন থমাস মুলার (৪ ও ৩১ মিনিট)। বাকি দু'টি গোল করেন ইভান পেরিসিচ (২১ মিনিট) ও সার্জ গ্ন্যাব্রি (২৭)। চারটি গোলের পাস বাড়িয়েছেন যথাক্রমে রবার্ট লেওয়ানডোস্কি, সার্জ গ্ন্যাব্রি, লিয়ন গোরেৎজকা ও জোশুয়া কিমিখ। অন্যদিকে ডেভিড আলবার আত্মঘাতী গোল বার্সেলোনার খাতা খুলতে সাহায্য করে। বিরতিতে ম্যাচের স্কোর-লাইন ছিল বায়ার্নের অনুকূলে ৪-১।
দ্বিতীয়ার্ধে মিউনিখের হয়ে ব্যবধান বাড়ান জোশুয়া কিমিখ (৬৩ মিনিট), রবার্ট লেওয়ানডোস্কি (৮২ মিনিট) এবং ফিলিপ কুটিনহো (৮৫ ও ৮৯ মিনিট)। অ্যাসিস্ট করেছেন আলফনসো ডেভিস, কুটিনহো, মুলার ও হার্নান্ডেজ। দ্বিতীয়ার্ধে জোরডি আলবার পাস থেকে বার্সার হয়ে একটি গোল করেন সুয়ারেজ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিদের নক-আউটে এখনও পর্যন্ত এটিই কোনও দলের সবথেকে বড় জয়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বার্সেলোনা শেষ বার কোনও ম্যাচে ৮ গোল হজম করে ১৯৪৬ সালে। অর্থাৎ, ৭৪ বছর পর আবার লজ্জার রেকর্ড গড়ে বার্সা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।