পাওয়ার সার্জ, এক্স ফ্যাক্টর, ব্যাশ বু্স্ট-ক্রিকেটের নিয়মকে ঢেলে সাজাল BBL

টুর্নামেন্টকে আকর্ষণীয় করতে অভিনব প্রয়াস ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।

বিগ ব্যাশ চ্যাম্পিয়ন সিডনি। ছবি- টুইটার।

শুভব্রত মুখার্জি

আইপিএলের ১৩তম মরশুমে যবনিকা পড়েছে। অত্যন্ত সফলভাবেই করোনা আবহে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন আরব আমীরশাহিতে করা সম্ভব হয়েছে। এবার করোনা আবহেই কয়েকদিন বাদে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশ।

প্রসঙ্গত এটি বিগ ব্যাশ লিগের ১০ম মরশুম হতে চলেছে। করোনা আবহে এমনিতেই দর্শকশূন্যভাবে আয়োজন করতে হচ্ছে টুর্নামেন্টগুলি। ফলে ঘরে বসে টিভির পর্দায় যাঁরা চোখ রাখছেন, তাঁদের জন্য ম্যাচগুলি আরও আকর্ষণীয় করতে নিয়মে একাধিক বদল আনছে বিবিএল কতৃপক্ষ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেইসব পরিবর্তন:-

১) পাওয়ার সার্জ:- ৬ ওভারের পাওয়ার প্লে'কে এবার দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমেই ৪ ওভার পাওয়ার প্লে হয়ে যাবে। বাকি ২ ওভার ব্যাটিং টিম ১১-২০ ওভারের মধ্যে যে কোনও সময় নিতে পারবে।

২) এক্স ফ্যাক্টর ক্রিকেটার:- দলগুলি নিজেদের প্রথম ইনিংসের ১০ম ওভারের মধ্যে একজন 'এক্স ফ্যাক্টর' ক্রিকেটারকে বদলির সুযোগ পাবেন। টিম লিস্টে ১২ বা ১৩তম ক্রিকেটার হিসেবে যাঁর নাম ঘোষনা করা হবে তাঁকে দলগুলি বদলি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে এমন ক্রিকেটারের বদলে যার ব্যাট করা হয়নি বা মাত্র ১ ওভার বল করেছেন।

৩) ব্যাশ বুস্ট:- এবার ম্যাচ জেতার ফলে তিন পয়েন্টের পাশাপাশি আর ও একটি ব্যাশ বুস্ট পয়েন্ট পেতে পারেন দলগুলি। রান তাড়া করার সময় মধ্যবর্তী সময়ে রান তাড়া করা দল যদি এগিয়ে থাকে তাহলে তারা একটি ব্যাশ বুস্ট পয়েন্ট পাবেন আর পিছিয়ে থাকলে সেই পয়েন্ট পাবে বিপক্ষ দল।