শুভব্রত মুখার্জি: আগামী পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের স্বত্ব এবং টেন্ডার বিক্রি করে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ উপার্জনের ভাবনায় বিসিসিআই। উল্লেখ্য নয়া মরশুমে আইপিএলের দুটি নয়া ফ্রাঞ্চাইজির যোগদানের মধ্যে দিয়ে বিসিসিআই ইতিমধ্যেই ১২,৭০০ কোটি টাকা উপার্জন করেছে। উল্লেখ্য ২০২৩-২৭ এই পাঁচ বছরের সময়কালের জন্য বিসিসিআইয়ের তরফে আইপিএলের স্বত্ব বিক্রি করা হবে।
পরের মাসেই বিসিসিআইয়ের তরফে টেন্ডার আহ্বান করার কথা রয়েছে। এই টেন্ডারের মধ্যে দিয়ে বিসিসিআই ক্রিকেট স্বত্ব কেনার মার্কেটে এক নয়া ইতিহাস গড়ার আশা করছে। ২০১৮-২৩ সাল পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের তরফে মিডিয়া রাইটাস স্টার ইন্ডিয়ার হাতে প্রদান করা হয়েছিল। এক পদ্ধতিতে এবার ও সেরা বিডারকে বেছে নেওয়া হবে বিসিসিআইয়ের তরফে। ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজারি কনস্যালট্যান্ট কেপিএমজির সঙ্গে এই বিষয়ে বিসিসিআইয়ের ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ক্লোজড বিডিং বা ই-অকশন কার মাধ্যমে এই নিলাম করা হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি।
তবে বিসিসিআইয়ের কর্তাদের ধারণা ই-অকশনের মধ্যে দিয়েই স্বচ্ছতা বজায় রেখে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন তারা। উল্লেখ্য ২০১৮ সালে ই-অকশনের মধ্যে বিসিসিআইয়ের দ্বিপাক্ষিক স্বত্ব জিততে সমর্থ হয়েছিল স্টার ইন্ডিয়া। ২০১৭ সালে টিভি এবং ডিজিটাল দু'টি মাধ্যম মিলিয়ে তিন রাউন্ডের সেই বিডিংয়ে রিলায়েন্স জিও এবং সোনিকে পিছনে ফেলেছিল স্টার। তবে এবার বিশেষ করে ডিজিটালের ক্ষেত্রে দেশি এবং অবশ্যই বিদেশি প্ল্যাটফর্মদের মধ্যে নিলামে এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করছে বিসিসিআই। সম্প্রতি অ্যামজন প্রাইম নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের স্বত্ব কিনেছে। এছাড়াও গুগল, ফেসবুকও এই লড়াইতে আসতে পারেন এবার। টিভি স্বত্বের ক্ষেত্রে এবার লড়াই হতে পারে ত্রিমুখী। সোনি-জি, স্টার, রিলায়েন্স এই তিন কোম্পানির মধ্যে হতে পারে এই লড়াই। বিসিসিআই এবার তাদের প্রতি বছরে ৭৪ ম্যাচের আইপিএলের জন্য ৩৫০০০ কোটি টাকা উপার্জনের আশা করছে। একনজরে আইপিএলের স্বত্বমূল্য:
১) ২০০৮-১৭
সোনি= ৮২০০ কোটি
২) ২০১৮-২২
স্টার ইন্ডিয়া= ১৬,৩৪৭.৫ কোটি
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।