জুলাইয়ের শুরুতেই আচমকা নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় হঠাৎ এমন সাক্ষাতের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। ফলে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছিল। রাজ্যের ক্রীড়ামহল তো বটেই, এমনকি নড়েচড়ে বসেছিল রাজনৈতিকমহলও। কেননা, সৌরভকে নিয়ে রাজনীতির আঙিনায় দড়ি টানাটানি নতুন নয়।
জল্পনার আগুনে ঘি ঢেলেছিলেন সৌরভের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। মহারাজের জন্মদিনে আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সৌরভের রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেননি। বরং দাবি করেছিলেন যে, দাদা যদি রাজনীতির আঙিনায় পা দেন, তবে সেটা শীর্ষ পৌঁছনোর জন্যই দেবেন।
অবশেষে জানা গেল সৌরভের জুলাইয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আসল কারণ। সৌরভ নবান্নে গিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের থেকে স্কুল তৈরির জন্য পাওয়া জমি ফিরিয়ে দিতে।
নিউটাউনে আইসিএসই বোর্ডের অনুমোদিত একটি স্কুল গড়ার জন্য তৃণমূল সরকারের কাছ থেকে ২ একর জমি পেয়েছিলেন সৌরভ। জমিটি নিয়ে মামলার মুখে পড়তে হয় সৌরভকে। সেকারণেই তিনি জমি রাজ্য সরকারকে ফিরিয়ে দিলেন বলে খবর।
সৌরভ বা রাজ্য সরকার, কোনও তরফেই এই নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে বিসিসিআই সভাপতির ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, জমি ফিরিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত বষয় নিয়েই সৌরভ গত মাসে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
অতীতে বাম জমানাতেও সরকারের কাছ থেকে জমি পেয়ে মামলার জন্য তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মহারাজ।
যদিও এবার জমি ফেরানোর ঘটনাতেও রাজনীতির রং লাগাতে চাইছেন কেউ কেউ। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সৌরভের সম্পর্ক ভালো হওয়ায় বিশেষ করে রাজ্যের বিরোধী শিবির থেকে আওয়াজ উঠতে শুরু করেছে যে, এর পিছনে রাজনীতির খেলা থাকতেও পারে। কেননা, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সৌরভের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলে আসেছে দীর্ঘদিন ধরে।
বোর্ড সভাপতি নিজে অবশ্য এমন আলোচনাকে পাত্তা দেননি কখনই। সৌরভ আগেই জানিয়েছেন যে, তাঁর সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো এবং এই মুহূর্তে রাজনীতিতে আসার কোনও ইচ্ছা নেই তাঁর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।