সদ্যই ৪৮,৩৯০ কোটি টাকার চোখ কপালে তুলে দেওয়া মূল্যে আইপিএলের স্বত্ব বিকিয়েছে। আর্থিক দিক থেকে বিশ্বের সবথেকে স্বচ্ছল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তাও নাকি তাদের সেরা ঘরোয়া লাল বলের টুর্নামেন্ট রঞ্জি ট্রফিতে ডিআরএস ব্যবহার করা সম্ভব। তাও কি না স্রেফ অর্থের অভাবে।
২০১৯-২০ সালে রঞ্জির সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে সীমিত ডিআরএস ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বোর্ড। তবে হক-আই এবং আল্ট্রা এজ, ডিআরএসের দুই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিই ছিল না সেই সীমিত ডিআরএসে। চেতেশ্বর পূজারা সেমিফাইনালে বিতর্কিতভাবে দুইবার জীবনদান পান। ফলত কর্ণাটককে হারিয়ে পূজারার সৌরাষ্ট্র ফাইনালে পৌঁছে যায়। এই ঘটনার পর এবারে আর ডিআরএসের সুবিধাই রাখেনি বিসিসিআই। আধা ডিআরএস তেমন লাভবান নয় এবং সব প্রযুক্তি দেওয়া ডিআরএস রাখলে বাড়তি খরচ হবে, স্রেফ এই কথা ভেবেই নাকি ডিআরএস রাখা হয়নি।
গোটা পরিস্থিতির বিষয়ে অবগত এক সূত্র জানান, ‘গোটা প্রযুক্তিসমেত ডিআরএস ব্যবহার করাটা খুবই খরচসাপেক্ষ। হক-আইয় ব্যবহারের মানে হল বাড়তি ক্যামেরা লাগানো। কিন্তু সীমিত জিনিসপত্র নিয়ে আয়োজিত হয়। তার ওপর (ফাইনালে) ব্যবহৃত হলে প্রশ্ন উঠবেই যে টেলিভিশনে দেখানো সমস্ত ম্যাচেই কেন এর ব্যবহার হবে না। সীমিত ডিআরএস ব্যবহারের কোনও মানে হয় না। গতবার তো এই সীমিত ডিআরএসই ব্যবহার করা হয়েছিল।’
এ বারের রঞ্জি ফাইনালে সরফরাজ খান মধ্যপ্রদেশের গৌরব যাদবের বলে এক এলবিডব্লু থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান। শেষমেশ তিনি ১৩৪ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। এরপরেই রঞ্জিতে ডিআরএস ব্যবহারের দাবি দাওয়া উঠতে শুরু করে। তবে স্রেফ আর্থিক ‘অভাবের’ জেরেই এক্ষেত্রে ডিআরএস ব্যবহার করা সম্ভব হল না। পরিবর্তে এক প্রাক্তন ভারতীয় তারকার দাবি অত্যাধিক অর্থ খরচ না করে পরিবর্তে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে ভরসা করার সময় এসেছে। তারও আশঙ্কা এক ম্যাচে ডিআরএস ব্যবহার শুরু হলে, বাকি ম্যাচগুলিতেও তা ব্যবহারের দাবি জানানো হবে। স্রেফ অর্থের চিন্তায় বিসিসিআইয়ের রঞ্জিতে এই ডিআরএস না রাখার সিদ্ধান্তকে আর যাই হোক যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।