ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্ত এবং ভারতীয় দলের থ্রো ডাউন বিশেষজ্ঞ দয়ানন্দ গরানীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর সরকারি ভাবে জানিয়ে দিল বিসিসিআই-ও। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে জানা যায়, ঋষভ পন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি এক আত্মীয়ের বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তিনি অবশ্য সেখানেই ছিলেন এবং সেখানেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরই জানা যায়, দয়ানন্দ গরানীও করোনা আক্রান্ত।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে শোনা গিয়েছিল, ভারতীয় দলের দু'জন খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ। পরে অবশ্য জানা যায়, একজনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অন্য জনের রিপোর্ট পজিটিভ। তবে ক্রিকেটারের নাম তখনও জানা যায়নি। শেষ পর্যন্ত ঋষভ পন্তের নাম প্রকাশ্য আসে। পন্তের পরেই জানা যায়, দয়ানন্দ গরানীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই ভারতীয় শিবিরে করোনা আক্রান্ত তীব্র আকার নিয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগেই নাকি ঋষভ পন্তের কোভিড ১৯ টেস্ট পজিটিভ এসেছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আলাদা করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। এ কথা নিজেদের বিবৃতিতে স্বীকারও করে নিল বিসিসিআই।
বিসিসিআই তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময়ে জানা যায়, ট্রেনিং অ্যাসিটেন্ট/নেট বোলার দয়ানন্দ গরানীরও করোনার রিপোর্ট পজিটিভ। সাউদাম্পটনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পর টিম ইন্ডিয়ার (সিনিয়র দল) তিন সপ্তাহের বিরতি ছিল। এই বিরতিতে পন্ত হোটেলে ছিলেন না। ৮ জুলাই পন্ত করোনায় আক্রান্ত হন। ওর কোনও লক্ষণ নেই। বিসিসিআই-এর মেডিক্যাল টিম ওকে সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এবং ধীরে ধীরে রিকভার করছে। ওর দু'টি আরটি-পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেই ও ডারহ্যামে টিমের সঙ্গে যোগ দিতে পারবে।’
বোলিং কোচ ভরত অরুণ, এবং দুই ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা ও অভিমন্যু ঈশ্বরণ, যাঁরা দয়ানন্দ গরানীর সংস্পর্শে এসেছিলেন বলে বিসিসিআই-এর মেডিক্যাল টিম জানিয়েছিল, তাঁদের দশ দিনের জন্য আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। দয়ানন্দ গরানী টিম হোটেলেই ছিলেন। ১৪ জুলাই করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, এমনটাই দাবি করেছে বিসিসিআই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।