নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জাতীয় নির্বাচক কমিটির সব সদস্যকে ছেঁটে ফেলল বিসিসিআই। অবিলম্বে নতুন নির্বাচক কমিটি গড়ার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বোর্ড। তারা ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচক হতে ইচ্ছুক প্রাক্তন ক্রিকেটারদের আবেদন জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে। আবেদনপত্র চেয়ে শুক্রবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিসিসিআই।
টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের ব্যর্থতার জন্যই যে এমন কড়া পদক্ষেপ নেয় বোর্ড, সেটা বুঝে নিতে অসুবিধা হয় না। চেতন শর্মা নির্বাচক প্রধান থাকাকালীন টিম ইন্ডিয়া ২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপের নক-আউটে উঠতে ব্যর্থ হয়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও হেরে বসে ভারতীয় দল। উল্লেখ্য, এবছর টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটে হেরে ছিটকে যায় রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন টিম ইন্ডিয়া।
নতুন নির্বাচক হওয়ার জন্য যোগ্যতামানও নির্ধারণ করে দিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। ভারতের হয়ে অন্ততপক্ষে ৭টি টেস্ট খেললেই সিনিয়র নির্বাচক কমিটির সদস্য হওয়া যাবে। তা না হলেও কেউ যদি অন্ততপক্ষে ৩০টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলে থাকেন, তিনিও জাতীয় নির্বাচক হতে পারবেন। যদি সেটুকু অভিজ্ঞতাও না থাকে, তবে অন্তত ১০টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও সেই সঙ্গে অন্তত ২০টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ খেলে থাকলেও চলবে। যদিও অন্তত ৫ বছর আগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে থাকতে হবে আবেদনকারীকে। আবেদন করতে হবে ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে।
আপাতত সিনিয়র নির্বাচক কমিটিতে চারজন সদস্য ছিলেন। চেতন শর্মা ছিলেন উত্তরাঞ্চলের প্রতিনিধি। মধ্যাঞ্চল থেকে নির্বাচক ছিলেন হরবিন্দর সিং। সুনীল যোশি দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিনিধি ছিলেন। নির্বাচিক কমিটিতে পূর্বাঞ্চলের প্রতিনিধি ছিলেন দেবাশিস মোহান্তি। আবে কুরুভিল্লার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে পশ্চিমাঞ্চলের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না জাতীয় নির্বাচক কমিটিতে। বিসিসিআই ৫ জন নির্বাচক চেয়েই বিজ্ঞাপন দিয়েছে।
এমনিতে নির্বাচকদের মেয়াদ থাকে চার বছর। তবে তার পরেও মেয়াদ বাড়ানো যায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে চেতনদের মতো এত তাড়াতাড়ি নির্বাচকের পদ খোয়াতে হয়নি কাউকে। চার নির্বাচকের কেউ যোগ দেন ২০২০ সালে। কেউ আবার দায়িত্ব নেন ২০২১ সালে।