সম্প্রতি বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকায় নাকি খুশি ছিলেন না অন্যান্য বোর্ড কর্তারা। তবে সেই সব রিপোর্ট ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন নয়া আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, বোর্ডের সব কর্তাই সৌরভের কাজে সন্তুষ্ট। এবার বিসিসিআই-এর বিদায়ী কোষাধক্ষ জানালেন, সৌরভের জমানায় বোর্ডের কোষাগারে যুক্ত হয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা।
অরুণ জানান, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকদের হাত থেকে যখন কর্তারা ক্ষমতা নিজেদের হাতে নেন, তখন বিসিসিআই-এর কোষাগারে ছিল ৩৬৪৮ কোটি টাকা। ২০২২ সালে নয়া পদাধিকারীদের নিয়োগের আগে বোর্দের কোষাগারে আছে ৯৬২৯ কোটি টাকা। প্রশাসকদের সময়কালের তুলনায় বর্তমানে তহবিলে প্রায় তিনগুণ বেশি অর্থ রয়েছে বলে জানান বিদায়ী কোষাধক্ষ্য। পাশাপাশি ধুমাল জানান যে গত তিনবছরে রাজ্য সংগঠনগুলিকে দেওয়া অর্থের পরিমাণ ৫ গুণ করা হয়েছে। প্রশাসকদের জমানায় যে পরিমাণ ছিল ৬৮০ কোটি টাকা। সৌরভ জমানায় সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৩২৯৫ কোটি টাকা। সেই টাকা বাদ দিয়েই বিসিসিআই-এর পকেটে এখন সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি রয়েছে।
অরুণ ধুলাম জানান, ২০২৩-২৭ সালের ব্যবসায়িক চক্রে আইপিএলের সম্প্রচার এবং ডিজিটাল অধিকারের ই-নিলাম থেকে ৪৮,৩৯০ কোটি টাকা পেয়েছে বোর্ড। তাছাড়া দুটি নতুন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি - গুজরাট টাইটানস এবং লখনউ সুপার জায়ান্টের নিলাম থেকে ১২,৭১৫ কোটি টাকা এসেছে বোর্ডের পকেটে। বোর্ডের এজিএম-এ সদস্যদের ধুমাল আরও জানিয়েছিলেন যে মুম্বইয়ের আয়কর ট্রাইব্যুনালকে বিসিসিআই এটা বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে ‘আয়কর আইনের অধীনে কর ছাড় পাওয়ার যোগ্য’ তারা। ধুমালের কথায়, ‘ট্রাইবুনালের এই রায়ে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা কর বাঁচানো সম্ভাবনা হবে বিসিসিআই-এর। আগে এই অর্থ অযৌক্তিকভাবে বিসিসিআই-এর থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকত।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।