রজার বিনির মনোনয়ন নিয়ে হঠাৎ-ই তীব্র জটিলতা, প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন তো?

আগামী ১৮ অক্টোবর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা রয়েছে। হিসেব মতো ওই দিনই সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা রজার বিনির। বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় তাঁর প্রেসিডেন্ট পদে বসার কথা। কিন্তু তার আগে হঠাৎ করেই বিনির মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা তৈরি হল।

রজার বিনি।

বিসিআই-এর ভিতর জোর ডামাডোল। এন শ্রীনিবাসনদের পরিকল্পনা কি ভেস্তে যেতে চলেছে? বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে নিজের পছন্দের প্রতিনিধি রজার বিনিকে বসানোর অঙ্ক একেবারে ছক মিলিয়ে কষে ফেলেছিলেন শ্রীনি। তবে সেটা যতটা সহজে হবে বলে মনে করা হয়েছিল, ততটা সহজে কিন্তু ঘটছে না বিষয়টা।

আগামী ১৮ অক্টোবর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা রয়েছে। হিসেব মতো ওই দিনই সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কথা রজার বিনির। বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় তাঁর প্রেসিডেন্ট পদে বসার কথা। কিন্তু তার আগে হঠাৎ করেই বিনির মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা তৈরি হল। আর এই সমস্যা তৈরি করলেন কর্নাটক রাজ্য সংস্থার (কেএসসিএ) দুই সদস্য।

তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন, বিনির মনোনয়ন পত্র বৈধ নয়। কেএসসিএ-র দুই সদস্য এএম রামমূর্তি এবং এন শ্রীপতি অভিযোগ, সংস্থার পরিচালন সমিতির দিকে। তাঁদের অভিযোগ, বোর্ডের নির্বাচনে বা বার্ষিক সাধারণ সভায় রজার বিনিকে মনোনীত করা অবৈধ। কারণ, পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে ৩ অক্টোবর। ফলে তাঁকে কোনও ভাবেই বোর্ডে মনোনীত করতে পারে না পরিচালন সমিতি।

একই আবেদন করেছ, হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা এবং উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থাও। যদিও সকলের আবেদনই খারিজ করা হয়েছে।

বোর্ডের নির্বাচনী আধিকারিক আবার সব তথ্য খতিয়ে দেখে জানিয়েছেন, রজার বিনির মনোনয়ন বা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। অর্থাৎ, সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হওয়া সময়ের অপেক্ষা।

বিসিসিআই-এর তরফে জানানো হয়, কেএসসিএ-র তরফে ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার অফ সোসাইটিজের কাছে ১২ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর দু’টি চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর বা তার আগে নির্বাচন করা হবে। সেই অনুমতিও পেয়েছে তারা। ফলে বিনিকে কেএসসিএ-র প্রতিনিধি হিসাবে বোর্ডের মনোনীত করতে কোনও সমস্যা নেই।