টসভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। প্রথম দিনের তাজা পিচে সৌরাষ্ট্রের পেসারদের যথাযথ সামলাতে পারেননি বাংলার ব্যাটসম্যানরা। প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয় ঠিকমতো সামলে উঠতে না পারায় ইডেনে রঞ্জি ফাইনালের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৪ রানে অল-আউট হতে হয় বাংলাকে।
হতে পারে প্রথম ইনিংসে বাংলার বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান নিজেদের ভুলে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে আসেন। তবু ম্যাচে ফেরার পর্যাপ্ত সুযোগ ছিল মনোজ তিওয়ারিদের সামনে। তবে বোলারদের ছন্দ খুঁজে পেতে দেরি হওয়া ও ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় সৌরাষ্ট্রকে চেপে ধরার সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলা।
বোলাররা নিজেদের ভুল শুধরে নিলেও ফিল্ডাররা যথাযথ সঙ্গত করতে পারেননি আকাশ দীপ, মুকেশ কুমারদের। বিশেষ করে ফিল্ডাররা একাধিক ক্যাচ ছাড়ায় ও বাউন্ডারি গলিয়ে রান উপহার দেওয়ায় সৌরাষ্ট্র প্রথম ইনিংসে ২৩০ রানের বড়সড় লিড নিতে সক্ষম হয়।
অন্তত চারটি ক্ষেত্রে অভিষেক পোড়েল, শাহবাজ আহমেদ, অভিমন্যু ঈশ্বরন ও সুমন্ত গুপ্ত সহজ ক্যাচ ছাড়েন সৌরাষ্ট্রের তিন ব্যাটসম্যানের। অভিষেক পোড়েল বেশ কয়েকটি হাফ-চান্সকে দস্তানাবন্দি করতে পারেননি। রান গলিয়েছেন আকাশ ঘটক, সুদীপ ঘরামিরা। উইকেটের পিছনে রান গলিয়েছেন অভিষেকও।
চারটি ক্যাচ যদি ধরতে পারতেন বাংলার ফিল্ডাররা, তবে প্রথম ইনিংসে সৌরাষ্ট্রকে অনেক কম রানে আটকানো যেত। প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়া থেকে হয়ত আটকানো যেত না উনাদকাটদের। তবে প্রথম ইনিংসে সৌরাষ্ট্র ৪০০ রানে পৌঁছতে পারত না নিশ্চিত। বাংলা দ্বিতীয় ইনিংসে যে রকম ব্যাট করে, তাতে সৌরাষ্ট্রের সামনে চ্যালেঞ্জিং একটা টার্গেট ঝুলিতে দেওয়া অসম্ভব হতো না।
প্রথমত, ৮.৫ ওভারে আকাশ দীপের বলে বিশ্বরাজ জাদেজার ক্যাচ ছাড়েন উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েল। জাদেজার ব্যাটে লেগে স্লিপে মনোজ তিওয়ারির কাছে বল যাচ্ছিল। তবে অভিষেক বুঝতে পারেন যে, বল মনোজের কাছ পর্যন্ত পৌঁছবে না। তাই তিনি নিজেই ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেন। যদিও বল দস্তানাবন্দি করতে পারেননি পোড়েল। বিশ্বরাজ তখন ৪ রানে ব্যাট করছিলেন। শেষমেশ তিনি ২৫ রানের যোগদান রাখেন।
আরও পড়ুন:- NZ vs ENG: ব্রডের আগ্রাসনে আয়ারাম-গয়ারাম উইলিয়ামসনরা, নিউজিল্যান্ডের হার বাঁচাবেন কে?
দ্বিতীয়ত, ৬৭.৬ ওভারে মুকেশ কুমারের বলে ফাইন লেগ বাউন্ডারিতে চিরাগ জানির সহজ ক্যাচ ছাড়েন শাহবাজ। বলের নীচে যথাযথ পৌঁছন শাহবাজ। তবে বল থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়ায় ক্যাচ ধরতে পারেননি তিনি। চিরাগ তখন ২৫ রানে ব্যাট করছিলেন। শেষমেশ তিনি ৬০ রান করে মাঠ ছাড়েন।
তৃতীয়ত, ১০৬.৪ ওভারে আকাশ দীপের বলে স্লিপে পার্থ ভাটের সহজ ক্যাচ ছাড়েন অভিমন্যু ঈশ্বরন। ১০৬.৬ ওভারে ফের জীবনদান পান পার্থ। এবার ক্যাচ ছাড়েন সুমন্ত গুপ্ত। প্রথমবারে পার্থর স্কোর ছিল ১১ এবং দ্বিতীয়বার জীবনদান পাওয়ার সময় তাঁর স্কোর ছিল ১২। শেষমেশ তিনি ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পার্থ আউট হলেই ৩৮৮ অথবা ৩৯০ রানে অল-আউট হয়ে যেত সৌরাষ্ট্র। শেষমেশ তারা ৪০৪ রানে অল-আউট হয়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup