রঞ্জির প্রথম চার ম্যাচ থেকে ১৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করে নক-আউটের দৌড়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে ছিল বাংলা। এবার ঘরের মাঠে তাদের লড়াই ছিল বরোদার বিরুদ্ধে। রঞ্জির পঞ্চম ম্য়াচে সরাসরি জয়ের হাতছানি ছিল মনোজ তিওয়ারিদের সামনে। শেষমেশ চোয়াল চাপা লড়াইয়ে বাংলা এই ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট পকেটে পুরে মাঠ ছাড়ে।
ম্যাচের সেরা অনুষ্টুপ
প্রথম ইনিংসে প্রবল চাপের মুখে ৯০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। তাঁর দুর্দান্ত ইনিংসই লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখে বাংলাকে। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন অনুষ্টুপ।
৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করল বাংলা
বরোদার বিরুদ্ধে ৭ উইকেটে জয়ের সুবাদে ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করল বাংলা। সরাসরি ম্যাচ হেরে বসায় বরোদাকে মাঠ ছাড়তে হয় খালি হাতে। এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচে বাংলার সংগৃহীত পয়েন্ট দাঁড়ায় সাকুল্যে ২৫। পাঁচ ম্যাচে বরোদার সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট।
ম্যাচের গতিপ্রকৃতি
টস: বরোদা টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে
বরোদার প্রথম ইনিংস: ২৬৯ (১০০.১ ওভার)
বাংলার প্রথম ইনিংস: ১৯১ (৫৯.৩ ওভার)
বরোদার দ্বিতীয় ইনিংস: ৯৮ (৪৪ ওভার)
বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস: ১৭৯/৩ (৬১ ওভার)
ম্যাচের ফল: বাংলা ৭ উইকেটে জয়ী।
দাপুটে জয় বাংলার
একসময় প্রথম ইনিংসের নিরিখে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া বাংলা শেষমেশ বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয়। জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে বাংলার দরকার ছিল ১৭৭ রান। ৬১ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যান মনোজ তিওয়ারিরা। মনোজ ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১৮ বলে ৬০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। সুদীপ ঘরামি ১১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৪০ বলে ৭৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
মনোজের অর্ধশতরান
৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মনোজ তিওয়ারি। ৫৯ ওভার শেষে বাংলার স্কোর ৩ উইকেটে ১৬২ রান। মনোজ ৫১ ও সুদীপ ৭২ রানে ব্যাট করছেন। জিততে বাংলার দরকার আর মাত্র ১৫ রান।
হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় মনোজ
৫৫ ওভার শেষে শেষ ইনিংসে বাংলার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩৫ রান। সুদীপ ১২৪ বলে ৬১ রান করেছেন। মনোজ ব্যক্তিগত ৪০ রানে ব্যাট করছেন। ৯৮ বলের ইনংসে তিনি ৫টি চার মেরেছেন।
জিততে বাংলার দরকার ৫৯ রান
৫০ ওভার শেষে বাংলার স্কোর ৩ উইকেটে ১১৮ রান। জিততে মনোজ তিওয়ারিদের দরকার আরও ৫৯ রান। তিওয়ারি ৭৮ বলে ৩১ রান করেছেন। তিনি ৩টি চার মেরেছেন। ১১৪ বলে ৫৪ রান করেছেন সুদীপ ঘরামি। তিনি ১০টি চার মেরেছেন।
হাফ-সেঞ্চুরি সুদীপের
১০টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সুদীপ ঘরামি। ৪৪ ওভারে বাংলা তাদের শেষ ইনিংসে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১০৩ রান সংগ্রহ করেছে। সুদীপ ৫৩ ও মনোজ ১৮ রানে ব্যাট করছেন। জিততে বাংলার দরকার আরও ৭৪ রান।
জিততে ৯০ রান দরকার বাংলার
৪০ ওভার শেষে বাংলার স্কোর ৩ উইকেটে ৮৭ রান। সুতরাং, ম্যাচ জিততে বাংলার দরকাক আরও ৯০ রান। সুদীপ ঘরামি ৪৫ রানে ব্যাট করছেন। মনোজ তিওয়ারি অপরাজিত রয়েছেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে।
চতুর্থ দিনের খেলা শুরু
গতদিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান সুদীপ ঘরামির সঙ্গে শেষ দিনে ব্যাট করতে নামেন মনোজ তিওয়ারি। ৩৬ ওভার শেষে বাংলার স্কোর ৩ উইকেটে ৭২ রান। সুদীপ ঘরামি ৪০ ও মনোজ তিওয়ারি ৬ রানে ব্যাট করছেন। জিততে আরও ১০৫ রান দরকার বাংলার।
শেষ দিনে দু'দলের জয়ের টার্গেট
শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলার দরকার ১২৪ রান। ম্যাচ জিততে বরোদাকে তুলে নিতে হবে বাংলার ৭টি উইকেট।
তৃতীয় দিনের স্কোর
তৃতীয় দিনে বাংলা তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১৯১ রানে। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৭৮ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে বরোদা। তারা তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ৯৮ রানে। জয়ের জন্য ১৭৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলা। তারা তৃতীয় দিনের শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান তোলে।
দ্বিতীয় দিনের স্কোর
দ্বিতীয় দিনে বরোদা তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২৬৯ রানে। পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে তাদের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৯ রান তুলে।
প্রথম দিনের স্কোর
কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বরোদা। তারা প্রথম দিনের শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২২২ রান তোলে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।