ইডেন গার্ডেন্সে রঞ্জি ট্রফির প্রথম ম্যাচে উত্তরপ্রদেশকে পরাজিত করে বাংলা। এবার ঘরের মাঠে রঞ্জির দ্বিতীয় ম্যাচে হিমাচলপ্রদেশকে হারানোর হাতছানি ছিল মনোজ তিওয়ারিদের সামনে। যদিও শেষ দিনে চোয়ালচাপা লড়াইয়ে ম্যাচ ড্র করতে সক্ষম হন ঋষি ধাওয়ানরা। প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সুবাদে ৩ পয়েন্ট পকেটে পোরেন মনোজ তিওয়ারিরা।
ম্যাচের সেরা অনুষ্টুপ
প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত শতরান করে বাংলাকে একার কাধে টেনে তোলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ২১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২০৭ বলে ১৫৯ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৪ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন অনুষ্টুপ।
ম্যাচের গতি প্রকৃতি
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলা। প্রথম ইনিংসে ৩১০ রান তুলে অল-আউট হন মনোজরা। অনুষ্টুপ মজুমদার ১৫৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ৫টি উইকেট নেন হিমাচলের সিদ্ধার্থ শর্মা। পালটা ব্যাট করতে নেমে হিমাচলের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৩০ রানে। ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন প্রশান্ত চোপড়া। ৫ উইকেট নেন শাহবাজ আহমেদ। ১৮০ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলা। তারা ২ উইকেটে ২৯১ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। সুদীপ ঘরামি ১০১, মনোজ তিওয়ারি ৫০ ও অনুষ্টুপ মজুমদার ৩৮ রান করেন। ২টি উইকেট নেন সিদ্ধার্থ শর্মা। জয়ের জন্য ৪৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে হিমাতলপ্রদেশ। তারা ৪ উইকেটে ৩৪৮ রান তুললে ম্যাচ ড্র হয়। প্রশান্ত চোপড়া ১০৯ ও অঙ্কিত ৮২ রান করেন। ২টি উইকেট নেন সায়ন শেখর মণ্ডল।
৩ পয়েন্ট বাংলার
ম্যাচ ড্র ঘোষিত হলেও প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সুবাদে ৩ পয়েন্ট ঘরে তোলে বাংলা। ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় হিমাচলপ্রদেশকে।
ম্যাচ ড্র
৪৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা হিমাচলপ্রদেশ ৯৩ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩৪৮ রান তুললে ম্যাচ ড্র ঘোষিত হয়। বশিষ্ট ২৮ ও একান্ত ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
ঋষি ধাওয়ানকে ফেরালেন সায়ন
৮৫.৫ ওভারে সায়ন শেখন মণ্ডলের বলে অভিষেক পোড়েলের দস্তানায় ধরা পড়েন ঋষি ধাওয়ান। ৫০ বলে ৩১ রান করেন ঋষি। মারেন ৪টি চার। হিমাচল ৩১০ রানে ৪ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন অমিত কুমারের পরিবর্ত একান্ত সেন
চায়ের বিরতি
জয়ের জন্য ৪৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে হিমাচলপ্রদেশ। তারা চতুর্থ দিনের চায়ের বিরতিতে ৮০ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৯ রান তুলেছে। সুতরাং, জয়ের জন্য হিমাচলের দরকার আরও ১৮৩ রান। ঋষি ধাওয়ান ৩১ বলে ১৬ রান করেছেন। তিনি ২টি চার মেরেছেন। ৩১ বলে ১৩ রান করেছেন বশিষ্ট। শেষ সেশনে হিমাচলকে অল-আউট না করতে পারলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে বাংলাকে।
প্রশান্তকে ফেরালেন আকাশ দীপ
৭২.১ ওভারে আকাশ দীপের বলে সুদীপ ঘরামির হাতে ধরা পড়েন প্রশান্ত চোপড়া। ১৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২০৫ বলে ১০৯ রান করে আউট হন তিনি। হিমাচল ২৬৫ রানে ৩ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন ঋষি ধাওয়ান।
অবসৃত অমিত কুমার
৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ বলে ৩৮ রান করে অবসৃত হন অমিত কুমার। হিমাচল ৭০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ২৬২ রান তুলেছে। প্রশান্ত চোপড়া ১৯৯ বলে ১০৮ রান করেছেন। তিনি ১৫টি চার মেরেছেন। ৮ বলে ৩ রান করে অপরাজিত রয়েছেন আকাশ বশিষ্ট।
২৫০ টপকাল হিমাচলপ্রদেশ
৬৫ ওভার শেষে হিমাচলপ্রদেশ শেষ ইনিংসে ২ উইকেটের বিনিময়ে ২৫২ রান তুলেছে। প্রশান্ত চোপড়া ১০৪ ও অমিত কুমার ৩৮ রানে ব্যাট করছেন। জিততে হিমাচলের দরকার আরও ২২০ রান।
শতরান চোপড়ার
প্রথম ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরির পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন প্রশান্ত চোপড়া। ৫৯ ওভার শেষে হিমাচলের স্কোর ২ উইকেটে ২৪৫ রান। প্রশান্ত ১০১ রানে ব্যাট করছেন।
লাঞ্চে শতরানের দোরগোড়ার প্রশান্ত
জয়ের জন্য ৪৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ তথা শেষ দিনের লাঞ্চে হিমাচলপ্রদেশ তাদের শেষ ইনিংসে ২ উইকেটের বিনিময়ে ২২০ রান তুলেছে। তারা সাকুল্যে ৫৭ ওভার ব্যাট করেছে। ১৫৪ বলে ৯১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন প্রশান্ত চোপড়া। তিনি ১২টি চার মেরেছেন। ২৭ বলে ২২ রান করেছেন অমিত কুমার। তিনি ৫টি চার মেরেছেন। জয়ের জন্য হিমাচলের দরকার আরও ২৫২ রানষ বাংলার দরকার ৮টি উইকেট।
অঙ্কিতকে ফেরালেন সায়ন
৪৯.৪ ওভারে সায়ন শেখর মণ্ডলের বলে অভিষেক পোড়েলের দস্তানায় ধরা পড়েন অঙ্কিত কলসি। ১১৪ বলে ৮২ রান করেন তিনি। মারেন ১০টি চার। বাংলা শেষ দিনে প্রথম উইকেটের মুখ দেখে। হিমাচল ১৯১ রানে ২ উইকেট হারায়। ব্যাট করতে নামেন অমিত কুমার।
জমাট প্রতিরোধ প্রশান্ত-অঙ্কিতের
৪৭ ওভার শেষে হিনাচলপ্রদেশের স্কোর ১ উইকেটে ১৮১ রান। ১৩২ বলে ৮১ রান করেচেন প্রশান্ত চোপড়া। তিনি ১২টি চার মেরেছেন। ১০৩ বলে ৭৫ রান করেছেন অঙ্কিত। তিনি ৯টি চার মেরেছেন।
১৫০ টপকাল হিমাচল
৪২ ওভার শেষে হিমাচলপ্রদেশ শেষ ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান তুলেছে। ১১৪ বলে ৬৭ রান করেছেন প্রশান্ত চোপড়া। ৯১ বলে ৬৭ রান করেছেন অঙ্কিত। দু'জনেই ৯টি করে চার মেরেছেন। জিততে হিমাচলের দরকার আরও ৩১৩ রান। চতুর্থ দিনে এখনও কোনও উইকেট পায়নি বাংলা।
হাফ-সেঞ্চুরি অঙ্কিতের
প্রশান্ত চোপড়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন অঙ্কিত। ৩৯ ওভার শেষে হিমাচলপ্রদেশের স্কোর ১ উইকেটে ১৩৪ রান। প্রশান্ত ৫৯ ও অঙ্কিত ৫৪ রানে ব্যাট করছেন। প্রশান্ত ৮টি ও অঙ্কিত ৭টি চার মেরেছেন।
হাফ-সেঞ্চুরি প্রশান্তের
প্রথন ইনিংসে ৭১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন প্রশান্ত চোপড়া। এবার ইডেনে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন তিনি। ৩৫.২ ওভারে হিলাচলের স্কোর ১ উইকেটে ১১৪ রান। ৫২ রানে ব্যাট করছেন প্রশান্ত। ৪৩ রান করেছেন অঙ্কিত।
শেষ দিনের খেলা শুরু
চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামেন হিমাচলের গতদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান প্রশান্ত ও অঙ্কিত। ২৯ ওভার শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮৮ রান। প্রশান্ত ৪৬ ও অঙ্কিত ২৩ রানে ব্যাট করছেন।
শেষ দিনে দু'দলের লক্ষ্য
জয়ের জন্য শেষ দিনে হিমাচলপ্রদেশের দরকার আরও ৩৯৩ রান দরকার। ম্যাচ জিততে শেষ দিনে বাংলাকে তুলে নিতে হবে হিমাচলের ৯টি উইকেট।
তৃতীয় দিনের স্কোর
তৃতীয় দিনে বাংলা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৯১ রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দেয়। সুদীপ ঘরামি ১০১, মনোজ তিওয়ারি ৫০ ও অনুষ্টুপ মজুমদার ৩৮ রান করেন। জয়ের জন্য ৪৭২ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে হিমাচলপ্রদেশ। তৃতীয় দিনের শেষে তারা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৭৯ রান তোলে। ৬৬ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন প্রশান্ত চোপড়া। ৩০ বলে ১৭ রান করে নট-আউট থাকেন অঙ্কিত।
দ্বিতীয় দিনের স্কোর
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই বাংলা গত দিনের ৩১০ রানের মাথায় প্রথম ইনিংস শেষ করে। অনুষ্টুপ মজুমদার ১৫৯ রানে আউট হন। ৫ উইকেট নেন হিমাচলের সিদ্ধার্থ শর্মা। পালটা ব্যাট করতে নেমে হিমাচল দ্বিতীয় দিনেই তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ১৩০ রানে। ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন প্রশান্ত চোপড়া। শাহবাজ আহমেদ ৫টি উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৮০ রানে এগিয়ে থেকে বাংলা দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে। দ্বিতীয় দিনের শেষে তারা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৮৯ রান তোলে। কৌশিক ঘোষ ২১ ও সুদীপ ঘরামি ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন।
প্রথম দিনের স্কোর
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলা একসময় লাঞ্চের আগেই ৪৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ৯ উইকেটে ৩১০ রান তুলে। শাহবাজ আহমেদ ৪৯ রান করে আউট হন। আকাশ দীপ ৩৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।