মঙ্গলবার গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছে বাংলা। ইতিমধ্যেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গিয়েছেন মনোজরা। নিয়মরক্ষার ম্যাচকে যদিও হাল্কা ভাবে নিতে রাজি নন লক্ষ্মীরতন শুক্লরা। অপরাজিত থেকেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে চান তাঁরা। এই ম্যাচেও পূর্ণ শক্তি নিয়ে নামতে চেয়েছিলেন কোচ লক্ষ্মী। সেটা যদিও সম্ভব হয়নি। ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে রয়েছেন মুকেশ কুমার। তাঁকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। এক দিনের দলে রয়েছেন শাহবাজ আহমেদ। সেই কারণে তিনি দলে যোগ দিতে পারেননি। প্রথম একাদশের দুই প্রধান ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই নামে বাংলা।
দিনের খেলা শেষ
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ। ১৫ ওভারে ৩৯ রান তুলে ২ উইকেট হারাল বাংলা। এখনও প্রথম ইনিংসে ২২৬ রান পিছিয়ে রয়েছে বাংলা। ক্রিজে ব্যাট করছেন অভিমান্যু ঈশ্বরণ ও পিবি চক্রবর্তী। করণ লাল ১৯ বলে ৮ রান করে আউট হয়েছেন এবং সুদীপ কুমার ঘরামি ৩৭ বলে ৯ রান করে আউট হয়েছেন।
শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে রয়েছে বাংলা
দলের ১২ এবং ৩০ রানের মাথায় বাংলা ২ উইকেট হারিয়ে বসে রয়েছে। করণ লাল ১৯ বলে ৮ করে আউট হয়ে যান। বসন্ত মোহান্তির বলে অনুরাদ সারেঙ্গির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সুদীপ কুমার ঘরামি আবার ৩৭ বলে ৯ রান করে বোল্ড হন। তাঁকে ফেরান সুনীল কুমার। ১৩ ওভারে ৩০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছে বাংলা।
২৬৫-তে অল আউট হয়ে যায় ওড়িশা
২৬৫ রানে অল আউট হয়ে গেল ওড়িশা। গীত পুরী শেষ উইকেটটি তুলে নেন। ৯৮তম ওভারের শেষ বলে সুনীল কুমারকে আউট করেন তিনি। ৫২ বলে ২৪ করে তিনি অভিষেক পোড়েলেন হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। বসন্ত মোহান্তি ৩৬ বলে ১৫ করে অপরাজিত থাকেন।প্রীতম এবং ইশান তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। আকাশ ঘটক ২টি উইকেট নিয়েছেন। আকাশদীপ এবং গীত পুরি একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
চা-বিরতিত ওড়িশার স্কোর ২৫৭/৯
চা পানের বিরতির আগে ওড়িশা যেমন ২৫০ টপকে গিয়েছে। তেমনই ৯ উইকেট হারিয়ে বসে রয়েছে। ক্রিজে রয়েছেন সুনীল কুমার (৪৬ বলে ২০) এবং বসন্ত মোহান্তি (৩১ বলে ১১)।
নবম উইকেট পড়ল ভারতের
৮৪.৩ ওভারে নয় নম্বর উইকেট হারাল ওড়িশা। সূর্যকান্ত প্রধানকে ফেরান প্রীতম। ১২ বলে ২২ রান করে অভিমন্যুর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সূর্যকান্ত। ২২৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসল ওড়িশা।
আরও ২ উইকেট পড়ল ওড়িশার
৪৩ বলে ৮ রান করে আউট হলেন প্রয়াস সিং। ৮০.৫ ওভারে আকাশ ঘটকের বলে ক্যাচ ধরেন আকাশ পোড়েল। দলের ২০৩ রানের মাথায় সপ্তম উইকেট হারায় ওড়িশা।এর পরেই সাজঘরে ফেরেন শুভ্রাংশু সেনাপতি। ওড়িশার অধিনায়ক ১২৭ বলে ৬৭ করে আউট হন। এটাই এখনও পর্যন্ত ওড়িশার ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান। ৮২.১ ওভারে প্রীতম চক্রর্তীর বলে বোল্ড হন তিনি। ২১০ রানে পড়ে যায় ৮ উইকেট।
ষষ্ঠ উইকেট হারাল ওড়িশা
৬৯.৫ বলে ছয় নম্বর উইকেট হারাল ওড়িশা। রাজেশকে ফেরালেন ইশান পোড়েল। ৬৩ বলে ১৫ করে বোল্ড হন রাজেশ। ৬ উইকেটে ওড়িশার সংগ্রহ ১৮৬ রান।
লাঞ্চের আগে ওড়িশার সংগ্রহ ১৭৩/৫
লাঞ্চের আগে ৬৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ওড়িশা করেছে ১৭৩ রান। ৯২ বলে ৪৮ করে লড়াই চালাচ্ছেন ওড়িশার অধিনায়ক শুভ্রাংশ সেনাপতি। উইকেটকিপার-ব্যাটার রাজেশ ধুপার ৪৩ বলে ১১ রান করে ক্রিজে রয়েছেন।
পঞ্চম উইকেট পড়ল ওড়িশার
৫২.৩ ওভারে গোবিন্দ পোদ্দারকে বোল্ড করেন আকাশ ঘটক। ৪১ বলে ১৭ করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১৩৯ রানে ৫ উইকেট পড়ে যায় ওড়িশার।
ফের ওড়িশাকে ধাক্কা দিল ইশান
শান্তনুর বদলে নেমেছিলেন রাকেশ পট্টনায়েক। তিনি ১৬ বলে ৫ রান করে ইশানের বলে অনুষ্টুপের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৪১.২ ওভারে ১১৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে থাকল ওড়িশা।
তৃতীয় উইকেট পড়ল ওড়িশার
৩৬.১ ওভারে শান্তনু মিশ্রকে ফেরান ইশান পোড়েল। ওপেন করতে নেমে শান্তনু ১০৯ বলে ৪২ করে লড়াই চালাচ্ছিলেন। অভিষেক পোড়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি সাজঘরে ফেরেন। ৩ উইকেটে ৯৯ রান ওড়িশার।
আজ যথা সময়ে খেলা শুরু
মঙ্গলবার ম্যাচের প্রথম দিন ভিজে উইকেটের কারণে প্রায় চার ঘণ্টা দেরীতে খেলা শুরু হওয়ায়, মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছিল। আজ যথা সময়েই খেলা শুরু হয়েছে।
প্রথম দিনের ফল
মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ের চার ঘণ্টা পর টস হয় ইডেনে। পিচ এবং মাঠ ভিজে থাকায় খেলা শুরু করা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ১২.৩০ মিনিটে টস হয়। যার জেরে প্রথম দিন খেলা হল মাত্র ৩৫ ওভার। ওড়িশা ২ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান করে। ১০৬ বলে ৪১ করে ক্রিজে রয়েছেন শান্তনু মিশ্র। ওড়িশার অধিনায়ক শুভ্রাংশু সেনাপতির সংগ্রহ অপরাজিত ১৫ বলে ৯ রান। বাংলার হয়ে ২টি উইকেট নিয়েছেন ইশান পোড়েল এবং আকাশদীপ।
বাংলার হাল
রঞ্জি ট্রফিতে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে বাংলা। খেতাব জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মনোজ তিওয়ারি, অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। যদিও বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা মনে করেন, খেতাব জয়ের রাস্তা এখনও অনেক দূরে। ১৯৮৯-৯০ সালের পর আর রঞ্জি ট্রফি জেতেনি বাংলা। কখনও রানার্স বা কখনও সেমিফাইনালিস্ট হয়েই থামতে হয়েছে বাংলাকে। তাই ছন্দে থাকা টিম বেঙ্গল এখনই খেতাব জয়ের স্বপ্ন দেখতে নারাজ। বরং ম্যাচ প্রতি ম্যাচ ভাবনা রেখেই এগোতে চান মনোজ, অনুষ্টুপরা। গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত খেলছে বাংলা। ৬ ম্যাচের মধ্যে ৪টে-তেই জিতেছে। ৩২ পয়েন্ট নিয়ে একেবারে শীর্ষে টিম বেঙ্গল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।