উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জির প্রথম ম্যাচেই ছয় উইকেটে জয় পেল বাংলা। তবে প্রথম ইনিংসে যেভাবে শুরু করেছিলেন মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদাররা, তা দেখে মনে হয়েছিল হার দিয়েই রঞ্জি শুরু করতে চলেছে বাংলা। কিন্তু তা হয়নি। ইশান পোড়েলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সৌজন্যে ম্যাচে ফিরে আসে বঙ্গ ব্রিগেডকে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাকে ২৫৯ রানের টার্গেট দেয় উত্তরপ্রদেশ। সেই রান সহজেই তুলে নেয় বাংলা।
অবশ্য টপ অর্ডার ব্যাটার অভিষেক দাশের পারফরম্যান্সে মোটেই খুশি নন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। অভিমন্যু ঈশ্বরনের ব্যর্থতা পূরণ করতে যে অভিষেক যে পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ অভিষেক, তা মেনে নিয়েছেন মনোজ। বঙ্গ অধিনায়ক বলেছেন, 'অভিমন্যু জাতীয় দলের হয়ে খেলতে বাংলাদেশে রয়েছে। আমাদেরও কিছু করার নেই। হিমাচলের বিরুদ্ধেও ওকে পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ এ দলের বিরুদ্ধে যেভাবে পারফরম্যান্স করেছে, তাতে ও আমাদের সঙ্গে থাকলে টপ অর্ডার নিয়ে চিন্তা করতে হত না। কিন্তু কিছু করার নেই। পরের ম্যাচেও আমরা আপাতত অভিষেককে রেখেই দল সাজানো হবে। তবে কোচের সঙ্গে এই নিয়ে আমরা আলোচনাও করব।'
এই ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন ইশান পোড়েল। দুই ইনিংস মিলিয়ে সাতটি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ইশানের কামব্যাকে খুশি মনোজ। বঙ্গ অধিনায়ক বলেন, 'ইশানের এই ইনিংসটা খুব দরকার ছিল। শরীর খারাপের জন্য বিজয় হাজারে ট্রফিতে ঠিক করে খেলতে পারেনি। ওর ফর্ম নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাচ্ছিল। ইশানের এই কামব্যাক দলকে অনেকটাই ভরসা দিল।'
দ্বিতীয় ইনিংসে রান পেয়েছেন কৌশিক ঘোষ, মনোজ এবং অনুষ্টুপ। বঙ্গ ব্যাটারদের দাপটে সহজেই জয় তুলে বাংলা। কিন্তু এই ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেই খুশি নন মনোজ। বঙ্গ অধিনায়ক জানিয়েছেন, 'এটা সবেমাত্র শুরু। রঞ্জি জিততে হলে এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। এই ম্যাচে ব্যাটিং এবং বোলিং লাইনআপে অনেক ভুল ধরা পড়েছে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনাও করেছি। আশা করছি হিমাচলের বিরুদ্ধে নামার আগে সব ঠিকঠাক করে নিতে পারব।'