শুভব্রত মুখার্জি: ১৯৮৯-৯০ সালের পুনরাবৃত্তি হয়তো অধরাই থেকে যাবে। ৩৩ বছর পরে ফের শাপমোচনের সুযোগ এসেছে বাংলার সামনে। সুযোগ এসেছে রঞ্জির শিরোপা জয়ের খরা কাটানোর। ১৯৮৯-৯০ সালের পরে ফের একবার রঞ্জি জয়ের সুযোগ রয়েছে বাংলার। তবে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফাইনালের দ্বিতীয় দিনের শেষে রীতিমতো ব্যাকফুটে বাংলা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় বাংলা দল। মাত্র ১৭৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলার থেকে ১৪৩ রানে এগিয়ে রয়েছে সৌরাষ্ট্র। হাতে রয়েছে পাঁচ উইকেট। এমন অবস্থায় ম্যাচে দ্বিতীয় দিনে কামব্যাক করতে না পেরে হতাশ মনোজ তিওয়ারিরা। হতাশ আপামর বাংলা ক্রিকেটের সমর্থকেরাও। এমন আবহে দলের বোলারদেরকেই ঘুরিয়ে দোষারোপ করলেন মনোজ তিওয়ারি!
আরও পড়ুন: এখনও তিন দিন সময় আছে, অনেক কিছু হতে পারে, হাল ছাড়ছেন না বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন
দ্বিতীয় দিনের শেষে চলতি রঞ্জি ফাইনালের যা অবস্থা তাতে কোন মিরাকেল না ঘটলে এই ফাইনালে বাংলার জয় অসম্ভব। তবে এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও হাল ছাড়ছেন না দলের কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা, অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। বৃহস্পতিবার সকালে ইডেনের গ্যালারি ভরিয়ে ফেলেছিলেন দর্শকেরা। শুক্রবার সেই ছবি যেন কিছুটা হলেও বদলে গেছে। সেই ভিড়ে যেন কোথাও টান পড়েছে। দ্বিতীয় দিনে ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স একেবারেই আশা অনুযায়ী ছিল না। খেলার প্রথম সেশনে যে লড়াইটুকু দেখা গিয়েছিল, বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা যেন কোথাও উধাও হয়ে গেল। শেল্ডন জ্যাকসন এবং অর্পিত ভাসাভাদাকে দেখে মনে হচ্ছিল, তাঁরা যেন আলাদা কোনও ২২ গজে ব্যাট করছেন। এতটাই স্বচ্ছন্দে খেললেন তাঁরা।
ফলে গোটা দিনে সৌরাষ্ট্রের মাত্র ৩টি উইকেট পড়ল। তার মধ্যে আবার রয়েছে নৈশপ্রহরী চেতন সাকারিয়ার উইকেট। তৃতীয় সেশনে একটা উইকেটও পায়নি বাংলা। ফলস্বরূপ ম্যাচে ১৪৩ রানে এগিয়ে সৌরাষ্ট্র। এখন ক্রিজে রয়েছেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অর্পিত এবং চিরাগ জানি।
আরও পড়ুন: ২য় দিনেই কোণঠাসা বাংলা, বড় রানে পিছিয়ে মনোজরা
কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা অবশ্য এখনও আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এখনও খেলা বাকি রয়েছে । সবে তো দু’দিন শেষ হল। এখনও তিনটে দিন খেলা বাকি। ম্যাচের মোড় ঘুরতে পারে। শনিবারের প্রথম সেশনটা আমাদের জন্য খুব জরুরি। কাল নতুন সেশনকে কাজে লাগাতে হবে। ওদের তাড়াতাড়ি অলআউট করতে হবে। এখনও ফাইনালের অনেকটা সময় রয়েছে।’
পাশাপাশি অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলেছেন, ‘ শনিবারের সকালটাকে টার্গেট করেছি আমরা আপাতত। ১০ ওভারের মধ্যে ওদের ৫ উইকেট তুলতে চাইছি। সেটা হলে ম্যাচে ফিরব আমরা। আর ২০-৩০ রানের মধ্যে ওদের অলআউট করতে পারলে ম্যাচে কামব্যাক হবে। টস হারাটা অবশ্যই ফ্যাক্টর হয়ে গেছে। গোটা টুর্নামেন্টে আমাদের বোলাররা ভালো বল করেছে। তবে ফাইনালে সেই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলাম না আমরা।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।