দু' চোখে অনেক স্বপ্ন ছিল। লক্ষ্যভেদের স্বপ্ন। অলিম্পিক্সের মঞ্চে সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু হঠার করেই যেন সেই সব রঙিন স্বপ্ন মুছে গিয়ে চোখের সামনে সবটাই কেমন যেন সাদা কালো ক্যানভাস হয়ে গিয়েছে। ১৯ বছরের প্রতিভাবান জাতীয় রাইফেল শুটার ঋতিকা কর্মকারের জীবনে নেমে এল নিকষ অন্ধকার। গত বছর নভেম্বরে জাতীয় মিটের প্রস্তুতির মাঝেই ধরা পড়ে তাঁর ক্যান্সার। মানসিক ভাবে একেবারে ভেঙে পড়েন ঋতিকা।
এই মুহূর্তে রাজারহাটের একটি বেসকরারি নার্সিহোমে চিকিৎসা চলছে ঋতিকার। তাঁকে বাঁচাতে হলে, দ্রুত বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন ৩০ লক্ষ টাকা। ঋতিকার মা সুমনা কর্মকার এবং তাঁর পরিবারের লোকজন টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করে চলেছেন। মেয়েকে বাঁচাতে প্রায় ২০ দিন আগে সকলের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন ঋতিকার মা সুমনা। সেই আবেদনের কথা জানতে পেরেই এগিয়ে এসেছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস।
মঙ্গলবার ঋতিকার মায়ের হাতে দু'লক্ষ টাকার চেক তুলে দিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলছিলেন, ‘১৯ বছর বয়সের রাইফেল শুটার ঋতিকা কর্মকার যে ক্যান্সারে আক্রান্ত, খবরটা জয়দীপ (কর্মকার) আমাকে প্রথমে জানিয়েছিল। সেটা জানার পরেই পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সব সময়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে রয়েছে।’
২০১৫ সাল থেকে জয়দীপ কর্মকারের শুটিং অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছিলেন ঋতিকা। রাজ্যস্তরের টুর্নামেন্টে থেকে স্কুল গেমস, সব জায়গা থেকেই পদক এনেছিলেন। জাতীয় মিটের প্রস্তুতি চলায় সময়ে হঠাৎ করেই গত বছর নভেম্বরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ঋতিকা। খিঁচুনি, সঙ্গে কাপুনি দিয়ে জ্বর। সেই সময় ডেঙ্গু হচ্ছিল খুব। সবাই ধরে নিয়েছিলেন, ঋতিকা সম্ভবত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু পরীক্ষা করে জানা যায়, ঋতিকা ক্যান্সারে আক্রান্ত। তবে প্রথম বারের চিকিৎসায় হাসপাতালে থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। বাড়ি ফিরে অনুশীলনও শুরু করেছিলেন। কিন্তু মাস দুয়েক আগে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ঋতিকা। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, তাঁকে বাঁচাতে হলে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করাটা খুবই জরুরি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।