শুভব্রত মুখার্জি: বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীতে সদ্য শেষ হওয়া রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মুম্বই এবং মধ্যপ্রদেশ দল। মুম্বইকে ছয় উইকেটে হারিয়ে মধ্যপ্রদেশ তাদের প্রথম রঞ্জি ট্রফির শিরোপা ইতিমধ্যেই জিতে নিয়েছে। যদিও হোলকার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে এর আগে তারা চারবার রঞ্জি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল তবে মধ্যপ্রদেশ হিসেবে এই প্রথম জয়ের স্বাদ পেল তারা। তাদের এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাদের ডানহাতি ব্যাটার রজত পাতিদার। যিনি এই মরশুমের আইপিএলে খেলেছেন রয়্যাল চ্যালেজ্ঞার্স ব্যাঙ্গালোর দলের হয়ে। আর ২২ গজে প্রথম ইনিংসে তিনি ব্যাট করতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই গ্যালারি থেকে আওয়াজ ওঠে 'আরসিবি আরসিবি' বলে।
নিজের সমর্থকদের অবশ্য হতাশ করেননি রজত পাতিদার। উপহার দিয়েছেন ১২২ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস। যে ইনিংসে তার খেলা প্রতিটি শটে যেন লেখা ছিল তার ক্লাস। বিশেষত ব্যাকফুটে গিয়ে তার ড্রাইভ ছিল দৃষ্টিনন্দন। রঞ্জি ফাইনাল চলাকালীন এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী ছিল গোটা স্টেডিয়াম। তৃতীয় দিনে ঘটে ঘটনাটি। প্রথম ইনিংসে মুম্বই সরফরাজ খানের শতরানে ভর করে বিপুল রান স্কোরবোর্ডে তোলে। তার জবাবে ২২২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে মধ্যপ্রদেশের লড়াইয়ের ভিত তৈরি করেছিলেন যশ দুবে এবং শুভম শর্মা।
দুজনেই শতরান করেন। যশ ১৩৩ এবং শুভম ১১৬ রান করে আউট হন। তৃতীয় দিন শেষে মধ্যপ্রদেশের স্কোর ছিল ৩৬৮/৩। তারা মুম্বইয়ের প্রথম ইনিংস স্কোরের থেকে পিছিয়ে ছিল মাত্র ৬ রানে। সেই দিনের শেষে পাতিদার অপরাজিত ছিলেন ৬৭ রানে। মোহিত আওয়াস্তির বলে আউঠ হন শুভম। তার পরেই ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় রজত পাতিদারকে। গ্যালারি জুড়ে আওয়াজ ওঠে 'আরসিবি আরসিবি' বলে। গোটা স্টেডিয়াম তখন সেই আওয়াজে মুখরিত। আন্দোলিত হচ্ছেন উপস্থিত সকলেই। উল্লেখ্য সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলের এলিমিনেটরে লখনউ সুপার জায়ান্টস দলের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১১২ রান করেছিলেন রজত। উল্লেখ্য তার ইনিংসে ভর করেই ওই ম্যাচ জিতে কোয়ালিফায়ারে গিয়েছিল আরসিবি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।