বিগ ব্যাশ লিগে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা ভাইরাস। সিডনি থান্ডারের চারজন খেলোয়াড় করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। মেলবোর্ন স্টার্সের সাতজন খেলোয়াড় এবং ৮ জন সাপোর্ট স্টাফের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। করোনার ফলে আতঙ্কে রয়েছে লিগ। সিডনি থান্ডারও নিশ্চিত করেছে যে তাদের চারজন খেলোয়াড় বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। নতুন বছরের প্রাক্কালে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স এবং সিডনি থান্ডারের মধ্যকার ম্যাচটি নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। তবে অ্যাডিলেড ওভালে নববর্ষের আগের ম্যাচটি ঠিক সময়েই আয়োজন করা হবে। করোনার আতঙ্কের মাঝেই ম্যাচ আয়োজন করতে বদ্ধ পরিকর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হেল্থ অফিস। বলা হয় চারজন খেলোয়াড়কে কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কর্তারা সকলের করোনা টেস্ট করান। সেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেই ম্যাচের আয়োজন করা হয়।
একটা সময় বলা হয়েছিল করোনার কারণে এই ম্যাচ স্থগিত করা হতে পারে। এরপরেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে জরুরি বৈঠক করে। তাদের আলোচনার পরে ঠিক হয়েছে ম্যাচটি নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আয়োজন করা হবে। সেভাবেই খেলার আয়োজন করা হয়। থান্ডার, যারা খেলোয়াড়দের মধ্যে চারটি মামলার রিপোর্ট করেছে, তারা অ্যাডিলেড স্ট্রাইকারদের বিরুদ্ধে নামে। এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নামে থান্ডাররা। প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে নির্দিষ্ট ২০ ওবারে ১৮৭ রান তোলে তারা।
তবে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার বনাম সিডনি থান্ডারের ম্যাচ আয়োজন করান গেলেও, মেলবোর্ন স্টারস বনাম পার্থের ম্যাচ আয়োজন করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ মেলবোর্ন স্টারসের খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে ১৫ টি করোনা মামলার রিপোর্ট করা হয়েছে। ২ জানুয়ারি পার্থ স্কোর্চার্সের বিরুদ্ধে তারা খেলতে নামার কথা। তবে সেই ম্যাচ হবে কিনা তা নিয়ে এখন জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখন দেখার মেলবোর্ন স্টারস শেষ মুহূর্তে মাঠে নামতে পারে কিনা।