মানসিক অসুস্থতার কারণে টোকিও অলিম্পিক্সেও বেশির ভাগ ইভেন্ট থেকেই নাম তুলে নিয়েছিলেন সিমোনে বাইলস। এখনও সেই যন্ত্রণা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না বাইলস। ফের কেঁদে ভাসালেন বিশ্বের সেরা জিমন্যাস্ট।
অভিযোগ উঠেছে, আমেরিকার মহিলা জিমন্যাস্টিক্স দলের প্রাক্তন চিকিৎসক ল্যারি নাসার ধারাবাহিক ভাবে যৌন নির্যাতন করতেন। ১৮ বছর ধরে নাকি ল্যারি নাসার আমেরিকার মহিলা জিমন্যাস্টদের উপর যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আর সেই সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষী দিতে গিয়েছিলেন বাইলস। বুধবার সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটির সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন বাইলস। সঙ্গে ছিলেন আরও তিন সতীর্থ অ্যালি রাইসম্যান, ম্যাকালা মারোনি এবং ম্যাগি নিকোলস।
চার বারের অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন বাইলস সেনেটে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। সাক্ষী দিতে গিয়ে কেঁদে ভাসান তিনি। বাইলস বলেন, আমেরিকার জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা, অলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক্স সংস্থা এবং তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) নিজেদের ভূমিকা ঠিক মতো পালনই করেনি। আর তার জন্যই জিমন্যাস্টদের উপর যৌন নির্যাতনের মাত্রাও বেড়েছে। বিশেষ করে এফবিআই বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, তারা চোখ বন্ধ করেছিল।
সেনেট জুডিসিয়ারি কমিটির সামনে বাইলস বলেন, ‘ল্যারি নাসার তো অপরাধীই। ওকে যেমন আমি দোষ দিচ্ছি, একই ভাবে দোষ দেব আমাদের গোটা সিস্টেমকেই। সিস্টেম ঠিক না হওয়ার কারণেই নাসার দিনের পর দিন এই খারাপ কাজ করে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। আমাদের জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা এবং অলিম্পিক্স, প্যারালিম্পিক্স সংস্থা নিজেদের কাজটাই ঠিক মতো করেনি। এফবিআই তো চোখ বন্ধ করে বসেছিল। তারাও নিজেদের দায়িত্বটা ঠিক মতো পালন করেনি। তা না হলে এত দিন ধরে এই অপরাধ করে যেতে পারত না নাসার।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।