আসন্ন বিধানসভা ভোটে তারকাদের নিয়ে টানাটানি চলছেই। তৃণমূল আর বিজেপি-র প্রার্থী তালিকায় যেন চাঁদের হাট। বিজেপি অবশ্য এখানেই থেমে থাকেননি। এ বার বাংলার আবেগকে নিজেদের দিকে টানতে প্রয়াত তিন ফুটবলারকেও তাদের ইস্তাহারে জায়গা করে দিয়েছে। গোষ্ঠ পাল, শৈলেন মান্না এবং চুনি গোস্বামীকেও নিজেদের ভোটের প্রচারে কাজে লাগিয়েছে গেরুয়া বাহিনী। এই তিন ফুটবলারের সঙ্গেই বাংলার আবেগ ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে।
আসলে ভোটের প্রচারে খেলাধূলাকেও হাতিয়ার করতে চেয়েছে বিজেপি। যে কারণে গোষ্ঠ পালের নামে ‘গোষ্ঠ বিহারী পাল ক্রীড়া উন্নয়ন তহবিল’ গড়ার কথা বলেছে তারা। যার জন্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে।
শৈলেন মান্নার নামে আবার ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যেখানে পরিকাঠামো আধুনিক হবে। যাবতীয় সুযোগসুবিধে থাকবে।
এর সঙ্গে 'চুনী গোস্বামী ফুটবল পুনরুজ্জীবন তহবিল’ গড়ার কথা বলেছে তারা। যার জন্য খরচ হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলা ফুটবলের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হবে।
এ ছাড়াও 'খেলো বাংলা মহাকুম্ভ’-র ঘোষণা করেছে তারা। প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের তুলে আনতেই এই উদ্যোগ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পদকজয়ীদের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে পেনশন দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে বাংলার খেলোয়াড়দের পেনশনের কথা বহু আগেই রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে। অবসরের পর খেলোয়াড়দের কোচ বা আম্পায়ার হিসেবে নিয়োগের কথাও বলেছে বিজেপি।
প্রতিটা মহকুমায় আবার ব্যাডমিন্টন, টেবল টেনিস, সাঁতারের সুবিধাযুক্ত স্টেডিয়াম ‘ফিট বাংলা ক্রীড়া সদন’ গড়ার কথা বলা রয়েছে ইস্তাহারে। প্লেয়ারদের জন্য প্রতি জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করার পাশাপাশি মেডিক্যাল সেন্টার তৈরি করা, প্রতি ব্লকে কমিউনিটি স্পোর্টস সেন্টার তৈরি করাj প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছে। তবে এ হেন লম্বা ইস্তাহার প্রতি বারই ভোটের আগে সব দলই ঘোষণা করে থাকে। কিন্তু জিতে আসার পর আর এর কোনটাই বাস্তবের রূপ নেয় না। এমনটাই খেলোয়াড়দের একাংশের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, এগুলি শুধু ভোটের আগের চমক।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।