লকডাউনের বাধ্যতামূলক বিরতির পর নতুন করে ক্রিকেট খেলা শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন হয়ে গেল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জৈব-নিরাপত্তার বেষ্টনীতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ম্যাচ। করোনা মহামারির মাঝে ম্যাচ আয়োজনে সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছ সর্বস্তরেই। এতদিন বেশ কিছু ক্রিকেট ম্যাচ নির্বিঘ্নে আয়োজিত হলেও শেষমেশ করোনার প্রভাবে ম্যাচ বাতিল হওয়া আটকানো গেল না।
গ্লস্টারশায়ার ও নর্দাম্পটনশায়ারের মধ্যে বব উইলিস ট্রফির ম্যাচ প্রথম দিনের লাঞ্চের পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় নর্দাম্পটনের এক নন-প্লেয়িং সদস্য করোনা পজিটিভ হওয়ায়। এই প্রথম কোনও ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ করোনার জন্য মাঝপথেই বাতিল হয়ে গেল।
এমন পরিস্থিতি যে একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল, তেমনটা বলা যাবে না কখনই। কেননা, আইসিসি এমন পরিস্থিতির কথা আঁচ করেই করোনা পরিবর্তের অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাচে। যদিও রাহুল দ্রাবিড়ের মতো কিংবদন্তি প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, যদি ম্যাচের দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনে কোনও ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হন, তবে সেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে? অর্থাৎ, সংশ্লিষ্ট ম্যাচটি যে বাতিল হয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কাই করেছিলেন দ্রাবিড়। শেষমেশ সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল।
রবিবার ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়েই। তবে লাঞ্চের ঠিক আগেই জানা যায় নর্দাম্পটনের এক ক্রিকেটার, যিনি প্লেয়িং ইলেভেনে ছিলেন না, করোনা পজিটিভ বলে চিহ্নিত হয়েছেন। তার পরেই দু'দলের ক্যাপ্টেন ও ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে ইসিবির সম্মতিতে ম্যাচ অফিসিয়ালরা খেলা বন্ধ করে দেন। নতুন করে কারও মধ্যে যাতে করোনা ছড়িয়ে না পড়ে, সেই আশঙ্কাতেই ম্যাচ বাতিল করা হয়।
ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার সময় গ্লস্টারশায়ার তাদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৬৬ রান তুলেছিল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।