প্রথম তিনটি টেস্টে স্পিনিং পিচ নিয়ে হল্লা হচ্ছিল। আমদাবাদে চতুর্থ টেস্টে পাটা পিচ হতেই ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পড়া যেন বন্ধ হয়ে গেল। পাঁচদিনে মাত্র ২১ টি উইকেট পড়ল। তার ফলে ২০০৩ সালে মোহালির পর ভারতের মাটিতে সবথেকে কম বোলিং স্ট্রাইক রেটের সাক্ষী থাকল আমদাবাদ। চতুর্থ টেস্টে ১২১ বলপিছু একটি উইকেট পড়েছে। যা ২০০৩ সালের মোহালি টেস্টে ছিল ১৪৬.৫।
আমদাবাদে প্রথমে ইনিংসে ১৬৭.২ ওভার ব্যাট করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ৪৮০ রান তুলেছিলেন স্টিভ স্মিথরা। সেখানে অজিদের আরও বেশি ওভার বল করতে হয়েছিল। প্রথম ইনিংসে ১৭৮.৫ ওভার ব্যাট করে ৫৭১ রান করেছিল ভারত। শ্রেয়স আইয়ার ব্যাট করতে পারেননি। অর্থাৎ ভারতের প্রথম ইনিংসে নয় উইকেট পড়েছিল। তারপর দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার মাত্র দুটি উইকেট তুলতে পারে ভারত। ৭৮.১ ওভারে ১৭৫ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। সার্বিকভাবে আমদাবাদে পাঁচদিনে ৪২৪.২ ওভারে ১,২২৬ রান উঠেছে। উইকেট পড়েছে ২১ টি। গড়ে ১২১.২৩ বলে পড়েছে একটি উইকেট।
ভারতের মাটিতে টেস্টে স্ট্রাইক রেটের পরিসংখ্যান (কয়েকটি তুলে ধরা হল)
- পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৩ সালে মোহালির পর ভারতে কোনও টেস্টে বোলিং স্ট্রাইক সর্বোচ্চ থাকল। মোহালিতে ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্টে মোট ৪৩৯.৩ ওভার হয়েছিল। উইকেট পড়েছিল ১৮ টি। অর্থাৎ ১৪৬.৫ বলপিছু একটি উইকেট পড়েছিল।
- ২০০০ সালে নাগপুরে ভারত-জিম্বাবোয় টেস্টেও উইকেটের আকাল দেখা গিয়েছিল। ৪৩৭ ওভারে মাত্র ২০ টি উইকেট পড়েছিল। বোলিং স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩১.১।
- ১৯৮৬ সালে ওয়াংখেড়েতে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্টে ৪০৫.৪ ওভারে ১৬ টি উইকেট পড়েছিল। সেই টেস্টে বোলিং স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫২.১।
- ১৯৫৫ সালে দিল্লিতে ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্টে ১০ টি উইকেট পড়েছিল। সেই টেস্টে বোলিং স্ট্রাইক রেট ছিল ২৮৫.৫। ৪৭৫.৫ ওভার বল করা হয়েছিল ওই টেস্টে।
- ১৯৫৫ সালেই ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্টে বোলিং স্ট্রাইক রেট ছিল ১৭৮.৮। ৪৭৬.৫ ওভারে ১৬ টি উইকেট পড়েছিল।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।