বিপিএলের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে ১৫ ওভারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সংগ্রহ ছিল ১০৫ রান। সেখান থেকে ২০ ওভারে কুমিল্লা করে ফেলে ১৮৩ রান। শেষ পাঁচ ওভারে হয় মোট ৭৬ রান। আর শেষ ওভারে ক্যামেরন ডেলপোর্ট নেন ২৩ রান। ২৮ রান থেকে ডেলপোর্ট এক লাফে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন। সেই সঙ্গে আক্রণাত্মক মেজাজে ছিলেন ফ্যাফ ডু'প্লেসিও।
টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স চাপে পড়ে গিয়েছিল। তবে ওপেনার লিটন দাসের ৩৪ বলে ৪৭ রানের ইনিংস কিছুটা ভরসা জোগায়। তিনে নেমে ফ্যাফ ডু'প্লেসির ৫৫ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংসটি কুমিল্লাকে বড় রানের ইনিংস গড়তে সাহায্য করে। আর শেষ পাতে মিষ্টির মতো ডেলপোর্টের ২৩ বলে ৫১ রানের ইনিংসটি ছিল অনবদ্য। যার হাত ধরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৩ উইকেট হারিয়ে করে ফেলে ১৮৩ রান। চট্টগ্রামের নাসুম আহমেদ নিয়েছেন ২ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৯ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে তারা। এর পরেও যে তারা সে ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে এমনটা নয়। একের পর এক উইকেট হারাতে থেকেছে চট্টগ্রাম। উইল জ্যাকস একমাত্র ৪২ বলে ৬৯ করে কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ১৩ আর মেহেদি হাসানের ১০ রান যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। ১৭.৩ ওভারে ১৩১ রানেই অল আউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম। কুমিল্লার নাহিদুল ইসলাম ৩ উইকেট নিয়েছেন। মুস্তাফিজুর রহমান, তনভির ইসলান, শহিদুল ইসলাম নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। করিম জনাত নিয়েছেন ১ উইকেট। ৫২ রানে ম্যাচ জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
৩ ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জিতেছে কুমিল্লা। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা লিগ টেবলের শীর্ষে রয়েছে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স আবার ৬ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে হেরেছে। ৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছে। তাদেরও পয়েন্ট ৬। তারা লিগ তালিকার দুইয়ে রয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।