ইটের জবাব পাথর দিয়ে দেওয়া বোধহয় একেই বলে। বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগের দশম ম্যাচে লেন্ডল সিমন্সের শতরানে ভর করে সিলেট সানরাইজার্স বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দেয় মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার সামনে। তবে তামিম ইকবাল পালটা সেঞ্চুরি করে জয় এনে দেন দলকে।
দু'দলের দুই ওপেনার সেঞ্চুরি করেন। তবে ম্যাচে ফারাক গড়ে দেয় বাকিদের সহযোগিতা। সিলেটের ইনিংসে একা কুম্ভ হয়ে লড়াই চালান সিমন্স। তিনি শতরান করলেও বাকিরা কেউই ২০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি। অন্যদিকে ঢাকার ইনিংসে তামিমের শতরানের পাশাপাশি হাফ-সেঞ্চুরি করেন অপর ওপেনার মহম্মদ শেহজাদ।
চট্টগ্রামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সিলেট। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রান তোলে। সিমন্স ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ বলে ১১৬ রান করেন। বাকিদের মধ্যে এনামুল হক ১৮, রবি বোপারা ১৩ ও মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত ১৩ রান করেন। ঢাকার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফি মোর্তাজা, আন্দ্রে রাসেল, এবাদত হোসেন ও কাইস আহমেদ। রাসেল ৩ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ১৭ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৬৪ বলে ১১১ রান করে অপরাজিত থাকেন তামিম। শেহজাদ ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯ বলে ৫৩ রান করে আউট হন। একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন আলাউদ্দিন বাবু।
সুতরাং, ১৮ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ঢাকা। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তামিম ইকবাল। ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থেকে যেতে হয় সিমন্সকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।