শুভব্রত মুখার্জি : পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম বিতর্কিত চরিত্র বাঁহাতি ওপেনার সলমান বাট। ম্যাচ গড়াপেটার কারণে মহম্মদ আমির, মহম্মদ আসিফ এবং সলমান বাটকে আজীবন নির্বাসনে পাঠিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আমির পরবর্তীতে ফিরে এলেও বাট বা আসিফের আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি মুখ খুললেন অস্ট্রেলিয়ার হাই প্রোফাইল বিশ্বকাপ জয়ী কোচ জন বুকাননকে নিয়ে। উল্লেখ্য বুকাননের প্রশিক্ষণে ২০০৮ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সে থাকাকালীন খেলেছিলেন সলমান বাট। বাটের মতে এই 'হাইটেক' অস্ট্রেলিয়ান কোচ যখন টিম মিটিং করতেন তখন তা এতটাই বোরিং হত যে ক্রিকেটাররা নাকি ঘুমিয়েই পড়তেন।
উল্লেখ্য ১৯৯৯-২০০৭ সাল পর্যন্ত রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া যে তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছিল সবক্ষেত্রেই তাদের কোচ ছিলেন জন বুকানন। তবে অনেকের মতেই, সেই সময়ের অজি দল এতটাই ভাল ছিল যে আলাদা করে প্রশিক্ষক হিসেবে তাঁর কোন ভূমিকা ছিল না। কেকেআরে তাঁর একাধিক অধিনায়কের নীতি কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ২০০৯ সালে বরখাস্তও করা হয়। সেই ঘটনা তুলে ধরেই বাটের মন্তব্য অস্ট্রেলিয়া ছাড়া কোচ হিসেবে তিনি আর কোনও সাফল্য পাননি। আর অস্ট্রেলিয়ার সেই সময় যা দল ছিল, তাতে বুকাননকে ছাড়াও তারা জেতার ক্ষমতা রাখত।
বুকানন সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বাট বলেন, ‘বুকানন একজন হাই টেক কোচ। উনি দীর্ঘ টিম মিটিং করতে পছন্দ করতেন। আমি কখনও এমন দীর্ঘ টিম মিটিংয়ের পক্ষপাতী নই, যেখানে ক্রিকেটাররা ঘুমিয়ে পড়বে। আমি দেখেছি কী ভাবে ওঁর টিম মিটিংয়ে ক্রিকেটাররা ঘুমিয়ে পড়ত। অস্ট্রেলিয়া ছাড়া উনি একাধিক কোচিং প্রোজেক্টের সাথে যুক্ত ছিলেন, তবে কখনও সাফল্যের মুখ দেখেননি। সেই সময়ের অস্ট্রেলিয়া দল অনবদ্য ছিল । তাদের কোচ থাকুক বা না থাকুক তাতে এমন কিছু ফারাক হত না। অজি ক্রিকেটাররা অনেকেই সেই কথা তাঁদের বইতে লিখেছেন। হ্যাঁ উনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তবে ওঁকে মহান করে দেখানোটা একেবারেই ঠিক নয়। যে কোনও কোচ ওই ধরনের ক্রিকেটারদের পেলে তাঁর একই রকম ফল হত।’