করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে ২৫ লক্ষ টাকা অনুদান সিএবি-র

মহামারী করোনার বিরুদ্ধে লড়াই রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াল বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যসোসিয়েশন। রিলিফ ফান্ডে ২৫ লক্ষ টাকা দিল সিএবি।

করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়াল সিএবি (ছবি-টুইটার)

মহামারী করোনার সঙ্গে মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের হাত শক্ত করল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। বুধবার সিএবি'র তরফে রাজ্য সরকারে এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে ২৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল। বুধবারই নবান্নে মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'রাজ্যের তরফে যে ইমারজেন্সি রিলিফ ফান্ড তৈরি করা হয়েছে, তাতে প্রথমেই ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট নয়'। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সংকটের মুহূর্তে রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা আগেই প্রকাশ করেছিল সিএবি। সংস্থার সভাপতি তথা বর্তমান বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে ইডেন গার্ডেনকে কোয়ান্টারাইন সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করতে পারে রাজ্য সরকার। এবার সিএবি সরাসরি আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল রাজ্য সরকারের দিকে।

স্টেট এমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে এদিন সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া জানান ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে সরকারকে আরও অর্থ সাহায্য করবে পারে বাংলার ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। অভিষেক ডালমিয়া আনুষ্ঠানিক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন, 'আমরা মানব সমাজের একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যখন নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ক্রিকেট বরাবর মানুষকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে। ক্রিকেট সব সময় মানবতার বার্তা বহন করেছে। সেকারণেই সিএবি'র তরফে আমরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রসদ যোগাতে আপাতত ২৫ লক্ষ টাকা স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দায়িত্ববান সংস্থা হিসাবে এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য।'

পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে রাজ্য সরকারের রিলিফ ফান্ডে পাঁচ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছেন প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি জগমোহন ডালমিয়া পুত্র তথা সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া।

সিএবি সচিব স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের শামিল হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, 'সারা দেশ জুড়ে অত্যাবশ্যকীয় লকডাউন যথাযথ কার্যকরী করার জন্য রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ। তবে করোনাভাইরাসকে পরাস্ত করতে আমাদের আরও কিছু করা দরকার। এমন প্রয়োজনের সময় আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সে কারণেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে সিএবি।'