ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে এবার মুখ খুলল ব্রিটেন সরকার। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্রের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের সরকার ফুটবলকে বাঁচাতে সবকিছু করবে। ব্রিটেনের কালচারাল সেক্রেটারি ওলিভার ডাউডেন জানান, আমরা আমাদের জাতিয় খেলাকে রক্ষা করার জন্য সবকিছু করব। ব্রিটেন সরকার সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের সরকার ইউরোপিয়ান সুপার লিগকে গুরুত্ব দিতে চায় না। তিনি এও জানিয়েছে যে তাঁরা ফিফা ও উয়েফার সঙ্গেই রয়েছে।
ঘটনার সুত্রপাত হয় করোনা প্যানডামিকের মাঝেই। করোনার কারণে ক্ষতি হয়েছে সর্বত্র। বাদ যায়নি বিশ্ব ফুটবলও। এমন সময় নিজেদের ক্ষতিকে বাঁচাতে ও আর্থিক লাভের জন্য বিশ্বের ১২টি ক্লাব এক হয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ আয়োজনের কথা ঘোষণা করে। এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। এই টুর্নামেন্টকে মান্যতা দিতে চায়নি ফিফা ও উয়েফা।
এই লিগের সঙ্গে যুক্ত ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ছটি ক্লাবের নাম। আর্সেনাল, চেলসি, লিভারপুল, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম হটস্পার। এই ক্লাব গুলো যদি ইউরোপিয়ান সুপার লিগ খেলে, সেক্ষেত্রে বড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে তাদের। আগেই ফিফা ও উয়েফা জানিয়ে দিয়েছে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ একটি বিতর্কি লিগ। এই লিগের সঙ্গে যেই দল যুক্ত থাকবে তাদের শাস্তি পেতে হবে। এমন অবস্থায় ব্রিটেন সরকার মনে করছে, ইউরোপিয়ান সুপার লিগে তাদের দেশের ছটি ক্লাব নাম লেখানোয় দেশের জাতীয় খেলার উপর প্রভাব ফেলবে। সেই কারণেই ফিফা ও উয়েফার পাশে দাঁড়িয়ে ব্রিটেন সরকার জানিয়ে দিয়েছে তারা ইউরোপিয়ান সুপার লিগের পক্ষে নয়।
ব্রিটেনের কালচারাল সেক্রেটারি ওলিভার ডাউডেন জানিয়েছে এই চুক্তির সমস্ত কাগজ পত্র তারা খতিয়ে দেখবেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন এবং তাঁরা কোনও ভাবেই নিজেদের জাতীয় খেলার কোনও অপমান হতে দেবেন না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।