শুভব্রত মুখার্জি
চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনাভাইরাসের প্রভাবে একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল ক্রীড়াক্ষেত্র। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে সারা বিশ্বের ক্রীড়াঙ্গন। মাঠে অল্পস্বল্প করে ফেরানো হয়েছে দর্শকদেরও। ভারতে মাঠে ফিরেছে ক্রিকেট, ফুটবলের মতো খেলা। ২০২১ সালেই আবার আয়োজিত হবে অলিম্পিক প্রতিযোগিতা। সেই লক্ষ্যেই অনুশীলন শুরু করেছে বেশ কিছু ভারতীয় অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলিটরা। তবে তাঁরা সবটাই শুরু করেছেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং বিদেশের মাটিতে।
করোনার সংক্রমণ যখন নীচের দিকে। দ্রুত জরুরি ভিত্তিতে টিকার ব্যবহারও শুরু হতে পারে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। কয়েকদিন আগেই সংসদীয় প্যানেলের রিপোর্টে প্রস্তাব দেওযা হয়েছিল, করোনার প্রতিষেধক ব্যবহার শুরু হলে তার অগ্রাধিকার তালিকায় অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের রাখা হোক। তারপর বিজ্ঞপ্তি জারি কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে ভারতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে গেলে কী কী বিধি মেনে চলতে হবে।
তাতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা কঠোরভাবে মেনেই আয়োজন করতে হবে প্রতিযোগিতার। প্রথমেই প্রত্যেক প্রতিযোগিতার জন্য আলাদা আলাদা কোভিড টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা বলা হয়েছে। যে টাস্ক ফোর্স ক্রীড়াবিদ এবং সাপোর্ট স্টাফদের উপর নজর রাখবে। ৫০ শতাংশ দর্শকের উপস্থিতি ও মাঠে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বড় প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সিসিটিভির বন্দোবস্ত করার কথাও বলা হয়েছে।
তবে এসবের পরে আয়োজনের ভেন্যু যে রাজ্যে পড়বে, সেই রাজ্যের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতিও গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়েছে। মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে। আরোগ্য সেতুর ব্যবহার করতে হবে। প্রতিযোগিতার ৭২ ঘণ্টা আগে আয়োজকরা আরটিপিসিআর পরীক্ষাও করাবেন অ্যাথলিটদের। ভেন্যুতে প্রবেশের আগে থার্মাল স্ক্রিনিং করে তবেই অ্যাথলিটদের ঢোকানো হবে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন অন্য প্রতিযোগী বা সাপোর্ট স্টাফদের সাথে অবাধ মেলামেশা এবং এলাকার বাইরে যাওয়াতে ও থাকছে বিধিনিষেধ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।