বাংলাদেশকে একাই দুমড়ে দিলেন শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেন, শেষ ম্যাচে হেরে কমনওয়েলথ গেমসের টিকিট হাতছাড়া নিগার সুলতানাদের

ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিলেন ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তু, বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসের যোগ্যতা অর্জন করল শ্রীলঙ্কার মহিলা ক্রিকেট দল।

কমনওয়েলথ গেমসের কোয়ালিফায়ারে চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। ছবি- আইসিসি।

শেষরক্ষা হল না। আশা জাগিয়েও বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসের যোগ্যতা অর্জন করা সম্ভব হল না বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেট দলের পক্ষে।

পরবর্তী কমনওয়েলথ গেমসে দেখা যাবে মেয়েদের টি-২০ ক্রিকেট। সেই ইভেন্টের যোগ্যতা অর্জনের জন্য লড়াইয়ে নামে পাঁচটি দেশ। পাঁচ দলের সেই কোয়ালিফায়ার লিগে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিল। যদিও তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা।

শেষমেশ সেই শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেই মূলপর্বের দৌড় থেকে ছিটকে যেতে হয় বাংলাদেশকে। শেষ লিগ ম্যাচে নিগার সুলতানাদের হারিয়ে শ্রীলঙ্কা বার্মিংহ্যামের টিকিট নিশ্চিত করে।

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা নিজেদের প্রথম তিনটি লিগ ম্যাচে জিতে পরস্পরের মুখোমুখি হয়। এই ম্যাচে যারাই জিতত, মূলপর্বে চলে যেত তারাই। সেদিক থেকে এটাই কার্যত কোয়ালিফায়ারের ফাইনাল ম্যাচর রূপ নেয়।

কুয়ালা লামপুরে এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৬ রান তোলে। ক্যাপ্টেন চামারি আতাপাত্তু নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন। তিনি ৬টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন। এছাড়া নীলাক্ষী ডি'সিলভা ২৮ রানের যোগদান রাখেন। বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নেন নাহিদা আকতার। ১টি করে উইকেট দখল করেন সালমা খাতুন, সুরাইয়া আজমিন ও রুমনা আহমেদ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে তাদের ২২ রানে হার মানতে হয়। মুর্শিদা খাতুন ৩৬, ফরজানা হক ৩৩ ও নিগার সুলতানা ২০ রান করেন। ৪ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন চামারি আতাপাত্তু।

ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দেওয়া আতাপাত্তু ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। ৪ ম্যাচে ২২১ রান ও ৪টি উইকেট সংগ্রহ করে তিনিই এই কোয়ালিফায়ার টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারে পুরস্কার জেতেন।